রাহুল রায়: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সুর আরও চড়ালেন তিনি। কেন্দ্রের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন আদালতে। বললেন, বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় জবকার্ড বেশি। আবার বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে। এদিন এই মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।
১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের টানাপোড়েন চলছে। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্র পাওনা টাকা দিচ্ছে না। আবার কেন্দ্র দাবি করেছে, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, রাজ্য তার হিসেব দেয়নি। তাই পাওনা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। এর মাঝেই রাজ্য বিজেপি তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, বাংলায় ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো টাকা দিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের কাছে, এমনই দাবি বিরোধী দলনেতার। দিন কয়েক আগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালের রেফার রোগ, স্বাস্থ্যসাথীর অপব্যবহারে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি]
এদিন সেই মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেন বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিও এফআইআর করার সুপারিশ করেছে, কিন্তু সেই সুপারিশ কার্যকর হয়নি। তাঁর আরও দাবি, হু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় জবকার্ড বেশি। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১১-২০২২ এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জবকার্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী সোমবার মামলার পর পরবর্তী শুনানি।
কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে এই প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ। ফলে গ্রামাঞ্চলের বহু সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। রাজ্য সরকার বারবার কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা পাঠানোর জন্য আরজি জানালেও নানা কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র তা এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্র আবার বলছে, রাজ্য সরকার ঠিকমতো এই প্রকল্পের কাজের হিসাব দিতে পারেনি। কেন্দ্র ও রাজ্য এই টানাপোড়েনে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ কর্মপ্রার্থীরা।