রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কথা দিয়েছিলেন, নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেবেন নিজের দায়িত্বে। কথা রাখলেন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ও ময়নায় মৃত দুই পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিলেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকে ২ জনকে কাজে বহাল করলেন তিনি। আগামী এক বছর সেখানে কাজ করবেন চাকরিপ্রাপ্ত গৌরী বর্মন ও প্রসেনজিৎ ভুঁইঞা। তারপর তাঁদের নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।
এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে বিয়েবাড়িতে গিয়ে মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে এক যুবকের। অভিযোগ, ধরপাকড়ের সময় পুলিশের গুলি লেগে মারা গিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। এর পরপরই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় (Moyna) বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। দুই মর্মান্তিক ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে গোড়া থেকেই সরব বিজেপি। ময়নায় দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নিজেই চাকরি দেবেন।
[আরও পডুন: ইডি-সিবিআই ধরবে না, সেই শর্তেই বিজেপির সঙ্গে চুক্তি শুভেন্দুর! ‘সাক্ষী আমি’, বিস্ফোরক জয়প্রকাশ]
সেই কথা রাখলেন। কালিয়াগঞ্জে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন, ময়নায় মৃত বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার ছেলে প্রসেনজিৎ ভুঁইঞাকে চাকরি দিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর প্রস্তাবমতো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (Assembly) ২ জনকে চাকরি দিলেন তিনি। আগামী ১ বছর বিরোধী দলনেতার অফিসে কাজ করবেন। অ্যাটেন্ডেন্ট হিসাবে কাজে যোগ দেন। শুভেন্দু বলেন, ”এটা করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দায়িত্ব পালন করল না। তাই আমাদেরকে এই দায়িত্ব পালন করতে হল। যদি চাকরি নাও দিতে পারতাম, তাহলে আমি ওঁদের পার্টি অফিসেই কোনও একটা কাজে নিযুক্ত করতাম।” বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নিজের ঘরে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে এক বছর দু’জন করে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করতে পারেন। সেই পদেই তাঁদের নিয়োগ করা হল।
[আরও পডুন: লুঙ্গি পরেই হাজির Cannes-এর রেড কার্পেটে! তাক লাগালেন বাংলাদেশি পরিচালক]
চাকরি পেয়ে খুশি দু’জনই। মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মনের বক্তব্য, ”চাকরিটা পেয়ে ভাল লাগছে, খুব খুশি। কিন্তু আমাদের দাবি একটাই। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক। নাহলে আমরা ন্যায় বিচার পাব না।”