সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক কেরিয়ারে বড় লড়াই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Polls) নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের হয়ে রণাঙ্গনে নামছেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে। তার আগে কোথাও কোনও ত্রুটিবিচ্যুতি রাখতে নারাজ শুভেন্দু। শুক্রবার মনোনয়ন পেশের আগে তাই ভোটার হিসেবে নিজের পরিচয়পত্রও বদলে ফেললেন। হলদিয়ার ভোটার ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আইনি অদলবদল করে এবার তিনি হয়ে গেলেন নন্দীগ্রামের ভোটার। এখান থেকেই ভোটে লড়বেন।
একুশের ভোটে নন্দীগ্রামের (Nandigram) মতো গণ আন্দোলনের কেন্দ্রটিই রাজনৈতিক লড়াইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রণক্ষেত্র। তাৎপর্যপূর্ণও বটে। তাই ডান-বাম সবপক্ষের নজর ছিল এই কেন্দ্রের দিকে। প্রায় মাস দুই আগে নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন তিনি। সেদিনই বোঝা গিয়েছিল, কতটা টানটান হতে চলেছে নন্দীগ্রামে শাসক-বিরোধী লড়াই। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে নামানো হয়েছে একদা তাঁর আস্থাভাজন, ঘনিষ্ঠ সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীকে।
[আরও পড়ুন: ‘দল ভাঙড়ে পাকিস্তানের লোককে দাঁড় করালেও আমরাই জেতাব’, প্রচারে বিস্ফোরক আরাবুল]
নন্দীগ্রামে ভোট ১ এপ্রিল। গত ১০ তারিখ সেখানে গিয়ে হলদিয়ায় মহকুমাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন পেশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার ঠিক দু’দিনের মাথায়, আজ, ১২ তারিখ শুভেন্দু পেশ করবেন মনোনয়নপত্র। তা হবে মহাসমারোহেই। শুক্রবার সকাল থেকে তাই কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবন থেকে হলদিয়া, নন্দীগ্রামের সর্বত্র বেশ ‘সাজ, সাজ’ রব। এদিন সকালে সিংহবাহিনী মন্দির, জানকীনাথ মন্দিরের পুজো দিয়ে, যজ্ঞ করে, আশীর্বাদ নিয়েছেন তিনি। এরপর হলদিয়ায় রোড শো করে মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন নন্দীগ্রামের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক তথা নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। তার প্রতিফলন দেখালেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে। বললেন, ”২ মে আমার বাড়িতে আসবেন, মিষ্টি খেয়ে যাবেন।”
[আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে গেরুয়া ঝড় নাকি বাজিমাত করবে তৃণমূল, কী বলছে ঝাড়গ্রামের ভোটচিত্র?]