সৌরভ মাঝি, বর্ধমান: দীর্ঘদিন ক্যানসার (Cancer) আক্রান্ত এক মহিলা। নিয়মিত কেমোথেরাপি করাতে হয়। কিন্তু দুঃস্থ পরিবার সেই খরচ জোটাতে হিমশিম খাচ্ছিল। আর তখনই মুশকিল আসান করল রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
বর্ধমানের (Burdwan) ভাঙাকুঠি এলাকার স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি থাকা অবস্থাতেই ওই মহিলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ করে দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শুক্রবার হাসপাতালে গিয়ে আজমিরা মণ্ডল নামে ওই মহিলার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করান আধিকারিকরা। তারপরই সেটি তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনিক এই তৎপরতায় খুশি রোগীর পরিজনরাও।
[আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর কয়লা কাণ্ডের তদন্তে সিআইডিও, দিনভর খনি এলাকায় চলল তল্লাশি]
জানা গিয়েছে, গলসি-১ ব্লকের ভাসাপুল এলাকায় বাড়ি আজমিরার। তিনি জানান, তাঁকে নিয়মিত কেমো নিতে হয়। এবার কেমো নিতে হাসপাতালে ভরতিও হন। কিন্তু খরচ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন পরিবারের লোকজন। বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন ওই হাসপাতালের কর্ণধার তথা বেসরকরি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম মালিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শেখ আলহাজউদ্দিন। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেওয়ার জন্য।
এদিন গলসি-১ ব্লক কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীরা ওই হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালেই পদ্ধতি মেনে অনলাইনে কার্ড করানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে কার্ডও দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। আজমিরা বলেন, “হাসপাতালেই এভাবে কার্ড পেয়ে উপকৃত হলাম। চিকিৎসার বিশাল খরচের হাত থেকে মুক্তি পেলাম।” এর আগেও বেশ কয়েকজন রোগীকে একইভাবে হাসপাতালেই কার্ড করিয়ে দিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, এদিনই রাজ্যের অন্তর্বর্তী বাজেটে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। বাজেট বক্তৃতায় জানালেন, প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে চলবে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের কাজ। শুধু তাই নয়, প্রতি তিন বছর অন্তর ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড রিনিউ করা যাবে। নতুন করে এই প্রকল্পের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা। বরাদ্দের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।