সুপর্ণা মজুমদার: ‘বসন্ত এসে গেছে’। কোথায়? স্বস্তিকা দত্তর (Swastika Dutta) জীবনে। এবার নতুন রঙের ছোঁয়া লেগেছে অভিনেত্রীর জীবনে। আর তাঁর নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরিচালনাতেই আড্ডাটাইমস প্ল্যাটফর্মের ‘বসন্ত এসে গেছে’ সিরিজে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা। ওয়েব সিরিজ থেকে রং উৎসব, সব নিয়েই কথা বললেন নায়িকা।
গায়ে ধুম জ্বর। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। সেই অবস্থাতেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্বস্তিকা। দোলের আগেই ‘বসন্ত এসে গেছে’ (Basanta Ese Gyachhe) তোমার জীবনে? প্রশ্নে স্বস্তিকার উত্তর, “বসন্ত মানেই নতুন কিছুর সূচনা। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি বসন্তকালে চারদিক আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আর সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। আড্ডাটাইমসের এই সিরিজের মাধ্যমে নতুন একটা চিন্তা মানুষের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। হাউস ওয়াইফ কথাটা এ যুগে না বলে আমি হোমমেকার বলি এবং ‘বসন্ত এসে গেছে’ এমনই ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড মেয়েদের গল্প যাঁরা প্রতি মুহূর্তে নিজেদের সঙ্গে মানসিকভাবে লড়াই করে চলেছে। যেটা তাঁরা সবার সামনে তুলে ধরতে পারে না। সেটা একান্তই নিজের সাথে নিজের চিন্তাভাবনার সঙ্গে লড়াই। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না কারণ গল্পটা এত সূক্ষ্ম জায়গায় দাঁড়িয়ে যে একটু এদিক থেকে ওদিক হলে পুরো স্টোরি রিভিল হয়ে যাবে।”
[আরও পড়ুন: সাপের বিষ কাণ্ডে এক সপ্তাহের মধ্যেই জামিন এলভিশ যাদবের]
‘বসন্ত এসে গেছে’র গল্পকে অত্যন্ত যত্ন সহকারে সাজিয়েছেন পরিচালক অভিমন্যু। সিরিজে চন্দ্রিমার চরিত্র করতে গিয়ে তাঁর চোখের জল পড়েছে বলেও জানান স্বস্তিকা। এমন সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রযোজক নিসপাল রাণেকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। স্বস্তিকার পাশাপাশি নতুন এই সিরিজে রয়েছেন অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল ও এনা সাহার বোন সাক্ষী। ‘গভীর জলের মাছ’ সিরিজে স্বস্তিকা-অর্পণ ছিলেন, তবে ‘বসন্ত এসে গেছে’তে তাঁদের দৃশ্য অনেক বেশি। অভিনেতার ভূয়সী প্রশংসা করেন স্বস্তিকা।
‘বসন্ত এসে গেছে’র পরই এল রং খেলার প্রসঙ্গে। এবার রং খেলবেন স্বস্তিকা? অভিনেত্রীর কথায়, “ছোটবেলা থেকে কখনই রং খেলি না। খুব ছোটবেলায় হয়তো এক-দুবছর খেলেছিলাম। তার পর আর না। ব্যক্তিগতভাবে আমার রং খেলা পছন্দ নয়। এমনি সকালবেলা উঠে ঠাকুরের সিংহাসনে রং দিই, বাবা-মায়ের পায়ে রং দিই। কাজ থাকলে তাও হবে না। দেখা যাক সেদিন থাকি কিনা বাড়িতে। অবশ্য শরীরের যা অবস্থা, মনে হচ্ছে কোথাও যাওয়া হবে না। আসলে আমি বড্ড পিটপিটে, তাই রং খেলি না। রং মাখার পর তোলার জন্য যে কসরতটা করতে হয়, তাতেই আপত্তি।”
কিন্তু এমন দিনে যাঁরা বলেন ‘খেলব হোলি রং দেব না তাই কখনও হয়…’, তাঁদের জন্য স্বস্তিকার বার্তা, “না না, রং দিতেই হবে না। আপনাদের আমার সঙ্গে খেলতেই হবে না। অনেক লোক আছে তো, তাঁদের সঙ্গে খেলুন। আমি বরং ঘুম থেকে উঠব বাড়িতে একটু মাংস-ভাত হবে বা রান্না করব। সেটা খাব, আবার ঘুমিয়ে পড়ব।”