সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুল দখলের পর কি এবার পাকিস্তানে (Pakistan) নজর তালিবানের? এই প্রশ্নের কারণ, বুধবার পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলে তালিবানের সঙ্গে পাক সেনার সংঘর্ষের ঘটনা। জানা গিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখোয়া অঞ্চলের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তেহরিক-ই-তালিবান (Teherik E Taliban) পাকিস্তান গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক জঙ্গিও। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তালিবানদের ওই গোষ্ঠীটি। বুধবারের এই সংঘর্ষ নিয়ে যদিও পাক সেনার তরফে অবশ্য নির্দিষ্টভাবে তালিবানের নাম করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের (Waziristan) কান্নিগুরামের সেনা চৌকিতে জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন এক জওয়ান। যদিও পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, গোটা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ টিটিপি'র। আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গি নেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠী বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: পাক জেল থেকে মুক্ত শীর্ষনেতা, ঠাঁই মিলবে নয়া Taliban শিবিরে?]
এরই মধ্যে বুধবার আফগানিস্তানের (Afghanistan) জেলে বন্দি টিটিপি-র নেতা মৌলানা ফকির মহম্মদকে মুক্তি দিয়েছে তালিবান। আফগান তালিবানের নেতা মহম্মদ ইয়াকুবের নির্দেশেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। যা খানিকটা হলেও চিন্তায় রাখছে ইসলামাবাদকে। মৌলানা ফকির মহম্মদ যদি নতুন করে ওয়াজিরিস্তানে টিটিপির নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ শুরু করে, সেটা বেশ চাপের হবে ইমরান খানের জন্য। আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখল পাকিস্তানে তালিবানিদের এই গোষ্ঠীটিকে নতুন করে উৎসাহিত করছে।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের কাঁটাতার পেরিয়ে সন্তানকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন মা, মর্মান্তিক দৃশ্যে চোখে জল মার্কিন সেনারও]
যদিও, এখনও তালিবানের সঙ্গে ইমরান সরকারের সুসম্পর্ক বজায় আছে। গত রবিবার তালিবান কাবুল দখলের পরেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। আফগানিস্তানের পরবর্তী তালিবান সরকারে পাক সেনার মদতে পুষ্ট তালিবান নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে প্রভাব রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের। তালিবানের ভিতরের সমীকরণ বলছে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের টিটিপি এবং সোয়াত উপত্যকায় সক্রিয় ‘তেহরিক-ই নিফাজ-ই শরিয়তি মহম্মদি’ গোষ্ঠীর সঙ্গে হাক্কানিদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে।