সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হবেই। স্বমূর্তি ধারণ করে এবার হুঁশিয়ারি দিল তালিবান। আমেরিকা ও কাবুলের গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার ‘নাটক’ করলেও শরীয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করাই যে তাদের উদ্দেশ্য তা ফের স্পষ্ট করে দিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
[আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে মায়ানমার! আরও ৮ গণতন্ত্রকামীকে গুলি করে মারল সেনা]
আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে মস্কোয় কাবুলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক চলছে তালিবানের। শুক্রবার এমন একটি বৈঠকের শেষে তালিবান নেতা সুহেল শাহিন সাফ বলে, “মে মাসের ১ তারিখের পর ন্যাটো বাহিনীকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। দেশে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা হবেই।” উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা ও তালিবান (Taliban)। সেই চুক্তি মতো মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী চলে গেলে কাবুলে আশরাফ ঘানির সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আর ফের ক্ষমতা হাতে পেলে নয়ের দশকের তালিবানি অরাজকতা ফিরবে সে দেশে। শরীয়ত আইন চালু করার নামে ফের মহিলাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। বামিয়ান বুদ্ধের মতো আরও ভাস্কর্য ধংসের মুখে পড়বে।ইসলামের নামে প্রকাশ্যে মাথা কাটা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিগত কয়েকদিনে সরকারি বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছে তালিবান। ফলে ধাক্কা খেয়েছে শান্তি প্রক্রিয়া। আমেরিকার চাপে আলোচনায় বসলেও এবার আফগান সরকার জঙ্গিদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। কান্দাহারে সেনা অভিযান সরকারের কড়া জবাবেরই অংশ। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর আফগান সেনাবাহিনীর ২০৯ শাহিন কোরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়, ওই মসজিদে বোমা বানানোর কাজ করছিল তালিবান জঙ্গিরা। তখনই কোনও ত্রুটির জন্য বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত তিরিশ জন সন্ত্রাসবাদীর।