সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের (Lockdown) সময় থেকেই প্রায় বেকার হয়ে পড়েছিল মধুসূদন। এদিকে সংসার আর চলে না। নিজের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণে ব্যর্থ হয়ে দুই বন্ধুর থেকে টাকা ধার করে বসে সে। স্বাভাবিক ভাবেই শোধ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপরই ধার থেকে মুক্তি পেতে দুই বন্ধুকেই অনুমতি দেয় নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার! এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল তামিলনাডুর (Tamil Nadu) এলআর পালায়াম গ্রাম। পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে অভিযুক্ত মধুসূদনের সঙ্গে ২১ বছরের পার্বতীর বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। মদে রীতিমতো আসক্ত মধুসূদন তেমন কাজকর্ম কিছু করত না। তবু কোনও ভাবে উঞ্ছবৃত্তি করেই গড়াচ্ছিল সংসারের চাকা। কিন্তু লকডাউনের ধাক্কায় সেসব কাজও আর রইল না। বাধ্যত দুই বন্ধু সুন্দরমূর্তি ও মণিকন্দনের কাছ থেকে টাকা ধার করেই সংসার চালাচ্ছিল মধুসূদন। এরপর তারা টাকা ফেরত চাইলে সে পার্বতীকে ধর্ষণ করার ঘৃণ্য প্রস্তাব দেয় তার বন্ধুদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর স্ত্রীকে ভিটামিন ট্যাবলেটের নামে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেয় মধুসূদন। ওষুধ খেয়ে পার্বতী অচেতন হয়ে পড়লে তাঁর উপরে চড়াও হয় অন্য দুই অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে DA বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের, তবে রয়েছে খারাপ খবরও]
পুলিশ জানতে পেরেছে এর আগেও একবার মধুসূদন মদ্যপ অবস্থায় তার আরেক এক বন্ধুকেও নিয়ে এসেছিল বাড়িতে। সেই সময়ও সে সেই বন্ধুটিতে অনুমতি দিয়েছিল তার ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধর্ষণ করার। যদিও সেযাত্রায় ঘুম ভেঙে পার্বতী চিৎকার করে ওঠায় পালিয়ে যায় সেই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, এরপর পার্বতী তাঁদের ২ বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। কিন্তু মধুসূদন সেখানে এসেও পার্বতীকে জোর করতে থাকে বন্ধুদের সঙ্গে সহবাস করার জন্য। অবশেষে গত সোমবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন পার্বতী। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মধুসূদন ও তার দুই বন্ধুকে।