সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের জন্য ‘অ্যান্থেম’ (Anthem) ঘোষণা করল তামিলনাড়ু (Tamil Nadu)সরকার। ‘তামিল থাই বাজথু’ নামের ওই গানটি এবার থেকে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাওয়া বাধ্যতামূলক। এমনটাই ঘোষণা করেছে সেরাজ্যের প্রশাসন। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, গান চলাকালীন কেবল দিব্যাঙ্গরা ছাড়া সকলকেই উঠে দাঁড়াতে হবে।
ঠিক কী জানানো হয়েছে সরকারের তরফে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ওই গান গাওয়া কিংবা বাজানো বাধ্যতামূলক। কেবল দিব্যাঙ্গদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাকিদের উঠে দাঁড়াতেই হবে গান চলাকালীন। তামিল ‘মাতা’কে স্মরণ করে তৈরি করা এই গানটি ৫৫ সেকেন্ডের।
[আরও পড়ুন: মতানৈক্য মুছল কাকা-ভাইপোর, বিজেপিকে হারাতে একমঞ্চে অখিলেশ-শিবপাল]
সম্প্রতি মাদ্রাজ হাই কোর্ট একটি মামলায় এই গানটি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিল, এই গানটি কেবল মাত্র একটি প্রার্থনা সংগীত। এবং সরকারের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই, যেখানে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের সময় এই গান চালালে বা গাইলে দাঁড়াতে হবে। আদালত পরিষ্কার করে দিয়েছিল, যেহেতু এটা জাতীয় সংগীত নয়, তাই এই গান চলাকালীন দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক নয়। অবশেষে রাজ্য সরকার এই গান গাওয়া ও বাজানো বাধ্যতামূলক করা হল।
এই গান নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। আইআইটি মাদ্রাজের একটি ঘটনায় শিরোনামেও এসেছিল ‘তামিল থাই বাজথু’। এবছরের সমার্তনে এই গান বাজানো হয়নি ওই প্রতিষ্ঠানে। তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছিল স্ট্যালিন সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী একটি চিঠি লিখে আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। অবশেষে ‘অ্যান্থেমে’র স্বীকৃতি পেল উল্লেখ্য, মনোমনিয়াম সুন্দরম পিল্লাইয়ের লেখা ও এম এস বিশ্বনাথন সুরারোপিত এই গানটি। প্রসঙ্গত, এর আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের নিজস্ব অ্যান্থেম রয়েছে। বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যের সঙ্গে এবার জুড়ে গেল তামিলনাড়ুর নামও। তবে সেই গানগুলির কোনওটিই বাজানোর সময় দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক নয়।