সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসার নামে তরুণীর মাথায় ১৮টি সূচ গেঁথে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। ওড়িশার (Odisha) বালানগির জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এমন ঘটনায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, ১৯ বছরের ওই তরুণী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। চার বছর ধরে নানা চিকিৎসককে দেখিয়েও শরীর ভালো হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবার দ্বারস্থ হয় সন্তোষ রানা নামে ওই তান্ত্রিকের। আর সেই তান্ত্রিকই নাকি চিকিৎসার নামে ওই নৃশংস কাণ্ড করে বসেন।
[আরও পড়ুন: খোপায় পলাশ, কপালে চন্দন, ‘বহুরূপী’ লুকে বাজিমাত কৌশানীর, পুজোর বক্স অফিস কাঁপাবে ‘ঝিমলি’]
তরুণীর বাবা জানাচ্ছেন, তান্ত্রিক তাঁদের মেয়েকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। ঘণ্টাখানেক বাদে তাঁকে বাইরে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর দেখা যায়, তরুণী অস্বস্তিতে ছটফট করছেন। এর পরই তাঁর মাথায় সূচ খুঁজে পান তাঁর বাবা। একে একে আটটি সূচ তিনি মাথা থেকে তুলে ফেললেও দেখা যায় তখনও অস্বস্তি কমেনি।
এর পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে এখনও তরুণীর মাথায় গেঁথে রয়েছে ১০টি সূচ। তরুণীর বাবা জানাচ্ছেন, তাঁর মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতেই পর পর সূচ গেঁথে দেওয়ার সুযোগ পান তান্ত্রিক। ফলে তরুণী কিছুই বুঝতে পারেননি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্তোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।