সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে কোনও কর্মী মারা গেলেও তাঁর বেতন বন্ধ হবে না। মাসে মাসে বেতন পাবে তাঁর পরিবার। এমনই ঘোষণা করল টাটা স্টিল (Tata Steel)। অতিমারী আবহে সংস্থার কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করল তারা।
কয়েকদিন আগেই এমন পদক্ষেপ করেছিল বোরোসিল। জানিয়ে দিয়েছিল, সংস্থার যেসব কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন, তাঁদের পরিবার পরবর্তী ২ বছর বেতন পাবেন। এবার সেই পথে হাঁটল টাটা স্টিলও। তবে ২ বছর নয়, যতদিন না ওই কর্মীর বয়স ৬০ বছর হয়, ততদিন এই সুবিধা পাবে তাঁর পরিবার। এই সংস্থায় কর্মীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। নিঃসন্দেহে এমন পদক্ষেপ অভিনব। করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও কর্মী মারা গেলেও ওই বয়স পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন : রাজনৈতিক হিংসায় অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য কী ব্যবস্থা? রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]
এখানেই শেষ নয়। কর্মীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসা ও আবাসন সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই দেওয়া হবে তাঁর পরিবারকে। এরই সঙ্গে টাটা স্টিলের যে সব কর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে ‘ফ্রন্টলাইন’ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদের কারও মৃত্যু হলে সেই কর্মীর সন্তানদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব দায়িত্বও নেবে সংস্থা। নিঃসন্দেহে এমন ঘোষণায় প্রবল স্বস্তিতে সংস্থার কর্মীরা।
গত বছরের মার্চে অতিমারীর মোকাবিলায় লকডাউনের (Lockdown) পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র। সেই সময় থেকেই বহু সংস্থাই কর্মী সংকোচনের পথে হেঁটেছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও সেই পরিস্থিতি অব্যাহত। কেবল এপ্রিল মাসেই ৭৯ লক্ষ ভারতীয় চাকরি হারিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় অনেককেই প্রবল আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে। এমনই এক সময়ে টাটা স্টিলের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন সংস্থার কর্মীরা। পাশাপাশি সাধারণ নেটিজেনরাও এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।