সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার পুরুলিয়ার সভা থেকে সায়নী ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত লাগিয়ে দেখাও’, হুঙ্কার দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই মমতাকে পালটা দিলেন তথাগত রায়। সায়নী কীভাবে এককালে এই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই প্রকাশ্য জনসভায় সরব হয়েছিলেন, তার একটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল। কিন্তু ছাড়ার পাত্রী নন সায়নীও। কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়ালেন টলিউড অভিনেত্রীও। নতুন পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক ভাবেই খোঁচা দিলেন গেরুয়া শিবিরকে।
বুধবার সকালে একটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করে নতুন করে বিতর্কে ঘি ঢালেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা। সেখানে দেখা যায়, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারের বিরুদ্ধে সোচ্চার সায়নী। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এক সায়নীর পাশে মমতা! আহা, দেখে বড় ভাল লাগল! আর এই দেখুন মমতার পাশে কে?’ এই ভিডিও পোস্ট করে এক ঢিলে যেন দুই পাখি শিকার করারই চেষ্টা করলেন তথাগত রায়। মমতা ও সায়নী উভয়কেই খোঁচা দিলেন তিনি। তবে সহজে ছাড়ার পাত্রী নন সায়নীও। এদিন একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “যাকে ভালবাসো তাকে যেতে দাও। ৯১.০৭ টাকা লিটারে কতদূরই বা তারা যেতে পারবে।” এভাবেই বিজেপিকে নাম না করে কটাক্ষ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রবল চাপের মুখে নতিস্বীকার, বদলে যাচ্ছে ‘তাণ্ডব’ ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত দৃশ্য]
উল্লেখ্য, সায়নী (Saayoni Ghosh) বনাম তথাগত রায় তথা বিজেপি তরজার সূত্রপাত সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে। সেখানেই বাঙালিয়ানা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তারপরই তাঁর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা। তার মাঝেই আবার প্রায় বছর পাঁচেক আগের অর্থাৎ ২০১৫ সালের সায়নী ঘোষের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা একটি টুইট নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। সায়নীর টুইটে দেখা গিয়েছিল, শিবলিঙ্গের মাথায় কন্ডোম পরাচ্ছে এইডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ম্যাসকট ‘বুলাদি’। ওই ছবিতে লেখা ‘বুলাদির শিবরাত্রি’। আর পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, “এর থেকে বেশি কার্যকরী হতে পারেন না ঈশ্বর।” এই টুইটটি হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট করেছে বলেই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Roy)। টুইট যুদ্ধের পর শুরু হয়ে যায় আইনি যুদ্ধও। সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল।
ত্রিপুরাতেও দায়ের হয় অভিযোগ।
তবে আসরে নেমে অভিনেত্রী স্পষ্ট করেন, নিজের ধর্মকে কোনওভাবে আঘাত করতে চাননি তিনি। দাবি করেন, ২০১৫ সালে টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। সেই সময় এই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। পরে যখন নজরে আসে তখন তিনি টুইটটি ডিলিট করেন। ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন বলেই দাবি সায়নীর।