অর্ণব দাস, বারাকপুর: নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগসাজশের সন্দেহ। উত্তর ২৪ পরগনার মামুদপুর কুলিয়াগড়ের বাসিন্দা এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করল শিবদাসপুর থানার পুলিশ। তার বাড়ি থেকে প্রচুর অ্যাডমিট কার্ড ও মার্কশিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি।
ধৃত রুমা মজুমদার, মামুদপুরের ৮ নম্বর বুথের বাসিন্দা। মামুদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হারান ঘোষের প্রতিবেশী তিনি। শুক্রবার শিবদাসপুর থানার পুলিশ আচমকাই তার বাড়িতে হানা দেয়। গ্রেপ্তারও করা হয় তাকে। বিজেপির দাবি, তার বাড়ি থেকে মার্কশিট এবং অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাই তাদের দাবি, অভিযুক্ত মহিলা নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা সত্ত্বেও কেন রুমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল, সেই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। তবে কি তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ, এই সন্দেহ প্রকাশও করেছে বিজেপি। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধকে পিষে মারল হাতি, মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য বনদপ্তরের]
নিয়োগ দুর্নীতির জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলার তদন্তভার ইডি ও সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত সন্দেহে মহিলার গ্রেপ্তারিতে স্বাভাবিকভাবেই লেগেছে রাজনীতির রং। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারির ঘটনায় নানা প্রশ্নের ভিড়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা সত্ত্বেও কেন পুলিশ মহিলার বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে কি প্রকৃত সত্য আড়াল করার চেষ্টা চলছে নাকি ওই মহিলাকে গ্রেপ্তারির নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, প্রশ্নে সরব বিজেপি।