ভারত: ২৫২/১০ (শ্রেয়স-৯২) ও ৩০৩/৯ ডিক্লেয়ার (শ্রেয়স-৬৭, পন্থ-৫০)
শ্রীলঙ্কা: ১০৯/১০ (ম্যাথিউজ-৪৩, বুমরাহ-২৪/৫) ও ২০৮/১০ (করুণারত্নে-১০৭, বুমরাহ-২৩/৩, অশ্বিন-৫৫/৪)
২৩৮ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় টেস্ট জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু মাত্র আড়াই দিনেই যে খেলা শেষ হয়ে যাবে, তা হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি। অন্তত অধিনায়ক করুণারত্নে যেভাবে শামি, বুমরাহদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে লড়াই শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল আরও খানিকটা দীর্ঘস্থায়ী হবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তবে কাজে এল না কঠিন সময়ে তাঁর করা মূল্যবান শতরান। প্রথম ইনিংসের মতোই ভারতীয় বোলারদের সামনে ক্রিজে টিকতেই পারলেন না বাকি শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। ফলে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর করুণারত্নেদের টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ করে দিল রোহিত শর্মার ভারত। আর দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে নয়া রেকর্ড গড়ে ফেললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে নজির গড়েছিলেন বুমরাহ। আর সোমবার নয়া রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন অশ্বিন। টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকদের তালিকায় অষ্টম স্থানটি দখল করলেন তিনি। পিছনে ফেলে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেইনকে। টেস্টে ৪৪০টি উইকেট উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের]
৯৩টি টেস্টে ৪৩৯টি উইকেট নিয়েছিলেন স্টেইন। আর অশ্বিন ৮৬টি টেস্টেই ৪৪০টি উইকেট ঝুলিতে ভরে ফেললেন। মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কপিল দেবের রেকর্ড টপকে গিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনার অশ্বিন। টেস্টে হরিয়ানা হ্যারিকেনের ৪৩৪টি উইকেট নেওয়ার মাইলস্টোন অতিক্রম করেছিলেন তিনি। আসালাঙ্কার উইকেট নিতেই কপিল দেবকে পিছনে ফেলে দেন তিনি। আর এবার লাল বলের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকদের তালিকায় আট নম্বরে উঠে এলেন তিনি। ৮০০টি উইকেট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মুথাইয়া মুরলিধরন।
এদিন ১০৭ রানের ভরসা যোগ্য ইনিংস খেলেন করুণারত্নে। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিসও। তবে তিনি ৫৪ রানে আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডার। আর তাতেই ২৩৮ রান জয় পকেটে ভরে ভারত। ফুলটাইম অধিনায়ক হওয়ার পর জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন রোহিত। এখনও পর্যন্ত কোনও সিরিজ হারেননি তিনি।