সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর দেশের জার্সি গায়ে ২২ গজে নেমেছিল কোহলি অ্যান্ড কোং। করোনা কালে দর্শক ভরতি গ্যালারিতেই আয়োজিত হয় প্রথম ওয়ানডে। কিন্তু করোনা পরবর্তী ক্রিকেটের সূচনাটা স্মরণীয় করে রাখতে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। বরং এ স্মৃতি ভোলারই চেষ্টা করবেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কারণ অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন তিনি।
এদিন তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমেই ৬৬ রানে স্মিথদের কাছে হেরে ১-০-য় পিছিয়ে পড়ল ভারত। আর তাতেই লজ্জাজনক এক রেকর্ড গড়লেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তাঁর নেতৃত্বে লাগাতার চারটি ওয়ানডে ম্যাচ হারল দল। এর আগে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল নিউজিল্যান্ড। আর এদিন টানা চতুর্থ ওয়ানডে-তে পরাস্ত কোহলির দল। একেই পিতৃকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য কটাক্ষের শিকার কোহলি। আর অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাঁকে। এর আগে এই লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। ২০১৫-১৬-তে পরপর পাঁচটা একদিনের ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। একটি দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাকি চারটি এই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই।
এদিন স্মিথ ও ফিঞ্চের সেঞ্চুরির সৌজন্যেই রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। বুমরাহ থেকে শামি, চাহাল থেকে জাদেজা, কাউকেই রেয়াত করেননি তাঁরা। কিন্তু হার্দিককে দিয়ে কেন বল করালেন না কোহলি?
[আরও পড়ুন: কাজে এল না ধাওয়ান–পাণ্ডিয়ার লড়াই, অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই লজ্জার হার ভারতের]
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক জানালেন, বল করার মতো ফিট নন হার্দিক। আর সেই কারণেই ছয় নম্বর বোলার হিসেবে কাজে লাগানো যায়নি তরুণ অলরাউন্ডারকে। তবে তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যেই রান তাড়া করতে নেবে ৩০০-র গণ্ডি পার হয় ভারত। ৯০ রান করেন তিনি। তাই তাঁকে পরের ম্যাচ বসানোর ঝুঁকিও নিতে চাইছে না দল। কিন্তু রবিবারের ম্যাচে কি তাহলে কোনও বদল ঘটাবেন না কোহলি? মনে করা হচ্ছে, নবদীপ সাইনিই বদলে দলে ঢুকতে পারেন শার্দূল ঠাকুর।