shono
Advertisement
WhatsApp

দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ! কেন এমন হুঁশিয়ারি মেটার?

দিল্লি হাই কোর্টে এক মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি সংস্থার আইনজীবীর।
Posted: 01:15 PM Apr 26, 2024Updated: 01:15 PM Apr 26, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে পরিষেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিল হোয়াটসঅ্যাপ। ২০২১ সালে দেশে লাগু হওয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(২) ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছে ফেসবুক (বর্তমানে মেটা) ও হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, যদি এনক্রিপশন ভাঙতে বাধ্য করা হয় তাহলে তারা এদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। কিন্তু কোনওভাবেই ইউজারদের গোপনীয়তা সংক্রান্ত নিয়ম তারা লঙ্ঘন করবে না।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০২১ ঘোষণা করে কেন্দ্র। বলা হয়েছিল ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে নয়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে চ্যাট অনুসরণ করে কোনও তথ্যের উৎস সন্ধান করতে হবে।

[আরও পড়ুন: পার্থর আমলেই বদল OMR সংরক্ষণের নিয়মে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর উপর দায় চাপালেন ব্রাত্য]

আর এপ্রসঙ্গেই এদিন হোয়াটসঅ্যাপ তথা মেটার আইনজীবী তেজস কারিয়া বলেন, মানুষ এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করতে চায় কেননা এখানে সব সময় মেসেজ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড। অর্থাৎ মেসেজ যিনি পাঠাচ্ছেন ও যিনি রিসিভ করছেন, তাঁরা ছাড়া কেউই সেই মেসেজ পড়তে পারে না। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপও নয়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমরা বলতে চাই, আমাদের যদি এনক্রিপশন ভাঙতে হয় তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে চলে যাবে।'' পরে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এই নিয়ম মানতে গেলে প্রতি বছর কোটি কোটি মেসেজ সংরক্ষণ করতে হবে। এ এমন এক চাহিদা, যা বিশ্বের কোনও দেশে লভ্য নয়। এবার তা করতে গেলে বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি মেসেজ সংরক্ষণ করেই যেতে হবে।

এর পর প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীৎ প্রীতম সিংহ অরোরার বেঞ্চ তাঁর কাছে জানতে চায়, ''বিশ্বে কোনও দেশই কি এই ধরনের তথ্য জানতে চায় না? এমনকী দক্ষিণ আমেরিকাতেও নয়?'' জবাবে কারিয়া বলেন, ''না, এমনকী ব্রাজিলেও নয়।''

[আরও পড়ুন: ভোটের বাংলায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগে সরব গেরুয়া শিবির]

এদিকে আদালতকে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, যদি ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন চালু না করা যায় তাহলে তদন্তকারী সংস্থাগুলির পক্ষে ফেক মেসেজের উৎস খুঁজে বের করা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়বে। ফলে সেই ধরনের মেসেজ অন্য প্ল্যাটফর্মেও ঘুরতে থাকবে। এতে সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা ধ্বংস হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement