সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাটজিপিটি থেকে জেমিনি, গ্রক থেকে মেটা, ডিপসিক- বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রমরমা। কাজে-অকাজে যখন খুশি প্রয়োজন মতো এআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে মানুষ। ফলে নিমেষে হচ্ছে মুশকিল আসান। কিন্তু নিজের কাজের সুবিধার্থে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কাছে সাহায্য চাইতেই রীতিমতো ধমক খেলেন এক যুবক! বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি।

বিষয়টা তাহলে একটু খোলসা করে বলা যাক। কার্সর এআই ব্যবহার করে একটি রেসিং গেম তৈরি করছিলেন এক ডেভেলপার। প্রথম ৮০০ লাইনের কোডিংয়ের সময় কোনও গন্ডগোল হয়নি। কিন্তু তারপরই থেমে যায় কার্সর এআই। ওই ডেভেলপারকে সাফ জানিয়ে দেয়, 'আমি তোমার জন্য আর কোনও কোড তৈরি করতে পারব না। এর মানে তো গোটা কাজটা আমিই করে দিচ্ছি। যুক্তি দিয়ে বিষয়টা বুঝে তোমারই কাজটা শেষ করা উচিত। তবেই পরবর্তীতে সিস্টেমটা নিজে সামলাতে পারবে।'
এখানেই শেষ নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও জানায়, সে যেকোনও কারও জন্যই কোড তৈরি করে দিতে পারে। কিন্তু এতে প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা বাড়বে। শেখার ইচ্ছে এবং সুযোগ কমে যাবে।
বিজ্ঞানের আধুনিকতাকে সঠিক ভাবে সঠিক পর্যায় পর্যন্ত ব্যবহারও তো মানুষের বুদ্ধির উপরই নির্ভরশীল হওয়া উচিত। কিন্তু এআইয়ের আবির্ভাবে তা হচ্ছে উলটো। এআই শেষপর্যন্ত সাহায্যের হাত না বাড়ানোয় বেশ ক্ষুব্ধ এই যুবক। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, 'এআই হয়তো জানে না, ওকে কেন প্রয়োজন। এখন আমি ৮০০ লাইনের কোড পড়তে পারব না। আরও কেউ কি এই সমস্যায় পড়েছেন?' যুবকের এহেন অবস্থা দেখে নেটপাড়ায় কেউ কেউ দুঃখপ্রকাশ করলেও অনেকে মশকরা করতে ছাড়ছে না। নেটিজেনদের একাংশ মুচকি হেসে বলছে, এতদিনে এআই সিনিয়র লেভেলে পৌঁছেছে। অন্য এক নেটাগরিকের কথায়, এই মডেলগুলি ক্রমেই উন্নতি হয়ে উঠছে! কারও দাবি, সত্যিই, যে বিষয়টি এআই বুঝতে পারছে, তা হয়তো প্রযুক্তি নির্ভরশীল অনেকের মস্তিষ্কেই প্রবেশ করছে না। শেষমেশ যুবকের রেসিং গেম তৈরি হল কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।