সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে হাই অ্যালার্ট জারি মুম্বই উপকূলে। মুম্বই হামলার ধাঁচে অনেকটা কাসভদের কায়দায় জলপথে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা নিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। পাকিস্তান থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই জঙ্গিরা ‘সমুন্দরি জেহাদি’ নামেই পরিচিত। পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে কোনওরকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেও তত্ক্ষণাৎ খবর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে শহরের পুলিশকে। “দেশে উত্তেজনার পরিবেশ থাকায় উপকূল দিয়ে হামলার আশঙ্কা বেড়েছে। সেই জন্য চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে,” এক সরকারি আধিকারিক বলেন।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর আমাদের ছিল না, হবেও না’, সাফ কথা পাকিস্তানি ইমামের]
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড)-র নির্দেশ পেয়ে মুম্বই পুলিশের বন্দর জোনের ডেপুটি কমিশনার রেশমী কারানদিকর জানান, রাতে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে টহলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের ৭০টি তীরে যেখানে জাহাজ এসে ঢোকে, সেখানে জোরালো আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে লুকিয়ে কেউ শহরে ঢুকতে না পারে। ওই এলাকাগুলিতে যাতে কোনও গাড়ি দাঁড়িয়ে না-থাকে, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বাদ দেওয়া হচ্ছে না আবর্জনার স্তূপও। প্রতিনিয়ত আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবারের মতোই এবছরও হাই অ্যালার্ট জারি রাজধানীতেও। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় তৈরি হয়েছে বিশেষ মঞ্চ। এবং মেট্রো রেলস্টেশন থেকে শুরু করে রাজপথ, বিমানবন্দর- সবেতেই বসেছে অতিরিক্ত প্রহরা। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে বিশেষ চেকিং।
দিল্লি মেট্রোর তরফে বিশেষ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো অবধি পার্কিং এলাকায় গাড়ি রাখা যাবে না। পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করায় ‘বীরচক্র’ সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার দিনে এই বীরচক্রের পদক তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে। যুদ্ধকালীন সময়ে বীরত্বের পরিচয় দিয়ে পাওয়া এটি দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান। বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পরের দিনই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের আকাশে ঢুকে পড়ে পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬। সফলভাবে এফ-১৬ ধ্বংস করে ও পাকিস্তানের মাটিতে বন্দি হয়েও বীরত্বের পরিচয় দেওয়ার জন্য ‘বীরচক্রে’ ভূষিত করা হচ্ছে অভিনন্দনকে। ‘পরমবীর চক্র’ আসলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বীরত্বের জন্য পাওয়া সর্বোচ্চ সম্মান। সদ্য ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা কারফিউ তুলে নেওয়ার পর দিন দিন স্বাভাবিক হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। জম্মুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কাশ্মীরেও কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রাজ্যপালকে একটি চিঠি দেবেন বলে টুইটারে জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এবার আফগান ‘মাদক বাদশাহ’র সঙ্গে জুটি দাউদের, উদ্বিগ্ন প্রশাসন]