ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এনআরসি ইস্যুতে এবার নাম না বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে বললেন, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়। অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা বুমেরাং হয়েছে বিজেপির জন্য। তালিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন অসমের উপমুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই পরিস্থিতিতে নাম না করে বিজেপিকে তোপ দেগে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইট করে জানান, দেশকে এবার জবাব দিতে হবে ওদের।
শনিবার প্রকাশিত হয়েছে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। সেখানে বাদ গিয়েছে ১৯ লক্ষ অসমবাসীর নাম। রাজ্যজুড়ে হাহাকার পরিস্থিতি। তবে সরকার বলছে, যাঁদের নাম নেই তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। কিন্তু সে চিঁড়ে ভিজবে না অত সহজে। নিজভূমে পরবাসী হওয়ার আশঙ্কায় কাঁটা বহু মানুষ। খোদ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবারই বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। এই পরিস্থিতিতে প্রমাদ গুনছে অসম বিজেপি। তখনই আসরে নেমে টুইট মুখ্যমন্ত্রীর। লিখলেন, ‘রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়। দেশকে জবাব দিতে হবে তাদের। দেশ ও সমাজের স্বার্থ পরিহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে এমনটাই ঘটে।’
মমতা আরও লিখেছেন, ‘বাংলাভাষী ভাইবোনদের জন্য খারাপ লাগছে। জাঁতাকলে পড়ে ভুগতে হয়েছে তাঁদের।’ প্রসঙ্গত, যাঁদের তালিকায় নাম নেই তাঁদের অবশ্য এখনই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না। রাজ্যজুড়ে এক হাজার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল খোলা হয়েছে। যেখানে ‘বিদেশি’ তকমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গিয়ে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে তথ্য পেশ করতে পারবেন। এর সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। ৬০ দিনের বদলে ১২০ দিন করা হয়েছে। কিন্তু ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল যে খুব স্বস্তি দিতে পারে, তেমনটা নয়। এভাবে নাগরিকত্ব প্রমাণে অনেক আইনি পদ্ধতি রয়েছে। প্রচুর অর্থব্যয়ও হওয়ার আশঙ্কা। তাই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার।
The post মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়, নাম না করে বিজেপিকে তোপ মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.