মিখাইল গর্বাচভের মৃত্যুর পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠে এসেছে। কারও চোখে তিনি ‘ভিলেন’। আবার কারও মতে, তিনি ছিলেন ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের উদ্গাতা। প্রশ্ন হল, বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত রাশিয়ার চেহারা সত্যিই কেমন ছিল? সাহিত্যে তার প্রতিফলনই বা হয়েছে কীভাবে? কলমে রাহুল দাশগুপ্ত
‘বিপ্লব কী দাবি করে জানো? দাবি করে, মানুষ তার ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের কথা ভুলে, স্বতন্ত্রভাবে সৃষ্টি-সাধনার স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়ে, এই কথাই শুধু জানুক, সে ইতিহাসের দাস মাত্র।’ এই কথাগুলোই মনে হয়েছিল ম্যাক্সিম গোর্কির উপন্যাস ‘দ্য লাইফ অফ ক্লিম সামগিন’-এর নায়ক ক্লিমের। এই বইয়ে বিপ্লব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গোর্কি। ক্লিমের মনে হয়েছিল, ‘বিপ্লবীদের ধ্বংস করার জন্যই বিপ্লবের প্রয়োজন।’ এর পরিণতি ভাল হয়নি। সোভিয়েত সাহিত্যের জনকের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসটিকে সোভিয়েতেই ‘নিষিদ্ধ’ করে দেন জোসেফ স্তালিন।
মিখাইল গর্বাচভের মৃত্যুর পর তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠে এসেছে। কারও চোখে তিনি ‘ভিলেন’। সোভিয়েত রাশিয়া তথা বিশ্বের পক্ষে তাঁর ভূমিকা ছিল চরম ক্ষতিকারক। আবার কারও মতে, তিনি মুক্তিদাতা। দীর্ঘদিন ধরে সোভিয়েত রাষ্ট্রে ব্যক্তিমানুষের স্বাতন্ত্র্য এবং মৌলিক ভাবনার উপর যে দমন-পীড়ন চলে আসছিল, তার হাত থেকে ওই দেশকে তিনি মুক্তি দিয়েছিলেন। প্রশ্ন হল, বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত রাশিয়ার চেহারা সত্যিই কেমন ছিল? সাহিত্যে তার প্রতিফলনই বা হয়েছে কীভাবে?
তৎকালীন দুই শ্রেষ্ঠ রুশ লেখক ম্যাক্সিম গোর্কি এবং ইভান বুনিনের মোহভঙ্গ হয়েছিল বিপ্লবের ভয়াবহ, রক্তাক্ত চেহারা দেখে। ১৯২১ সালে কবি নিকোলাই গুমিলেভ-কে লেনিনের রোষ থেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়ে গোর্কি স্বাস্থ্যের অজুহাতে ইতালিতে চলে যান এবং সেখানে স্বেচ্ছা-নির্বাসন নেন। ‘দ্য লাইফ অফ ক্লিম সামগিন’ উপন্যাসে গোর্কি তীব্র শ্লেষে লিখেছেন- জনসাধারণের প্রতি দরদহীন শখের বিপ্লবী এরা! রাগী হৃদয়ের সঙ্গে হিসাবি মস্তিষ্কের জুড়ি বাঁধতে এদের লেশমাত্র আপত্তি নেই। তাড়াতাড়ি করে নাটক শেষ করে যত দ্রুত হয় ফলভোগ করব, এমন আশায় থাকা বিপ্লবীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
[আরও পড়ুন: এখনই সময়, দুর্বল পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসুক ভারত]
এই বইয়েরই অন্যত্র গোর্কি লিখেছেন, ‘ওটাকে বিপ্লব বলে না কি? ছেলেরা রিভলভার নিয়ে গুলি ছোড়াছুড়ি করলেই বিপ্লব হয়? তাস খেলতে খেলতে লোকে ক্লান্ত। তাই একটা বিপ্লব শুরু করা যাক, কিছু একটা তো করতে হবে। তোরা সবাই তোদের বিপ্লব আর আত্মাভিমানের ভণ্ডামি নিয়ে চুলোয় যা, তোরা হলি গিয়ে বাদাম বসানো মিঠে বিস্কুট।’ রুশ বুদ্ধিজীবীদের তীব্র আক্রমণ করে গোর্কি লেখেন, ‘তোমাদের এই সাংস্কৃতিক দুনিয়ায় এমন কতকগুলি লোক আছে, যাদের থাকাটাই একেবারে মোক্ষম প্রমাণ যে ওই জায়গাটার অবস্থা বিশেষ সুস্থ নয়। সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে পড়ছে ব্যবসায়ী আর বিষয়ী লোকদের লোভ-লালসার জন্য, তারাই তো কাজের প্রতি ভালবাসাকে বিনষ্ট করে দেয়।’
ইভান বুনিন দেশত্যাগ করেন ১৯২০ সালে। তাঁর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, ‘দ্য লাইফ অফ আর্সেনিয়েভ: দ্য ওয়েল অফ ডেজ’ প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৩৩ সালে প্রথম রুশ লেখক হিসাবে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর উপন্যাসগুলিতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বুনিন প্রশ্ন তোলেন, ‘বিপ্লবের পর যে পরিবর্তন হচ্ছে, তা কি শুধুমাত্র বাইরের প্রলেপ, নগরে ও মুষ্টিমেয় নাগরিকের জীবনে? সবাই বিপ্লব বিপ্লব করে চেঁচাচ্ছে। কিন্তু সবকিছু আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। এদেশের মানুষ শুয়োরের মতো বেঁচে আছে, পচে যাচ্ছে। গোটা দেশের ইতিহাস খুন আর বিশ্বাসঘাতকতায় পূর্ণ। দরিদ্র মানুষের সঙ্গে এত ইতর ব্যবহারও দুনিয়ার আর কোনও দেশে করা হয় না। গোটা দেশ ভরে গিয়েছে ভিখারি আর বেশ্যায়।’
গোর্কি-বুনিন পরবর্তী রুশ সাহিত্য দু’টি শিবিরে ভাগ হয়ে যায়: সোভিয়েতপন্থী এবং সোভিয়েত-বিরোধী। সোভিয়েতপন্থীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন মিখাইল শলোকভ। যদিও ক্ষমতায় আসার আগে বিপ্লবের নামে লালফৌজ গোটা রাশিয়ায় যে ভয়াবহ সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়েছিল, তার নিষ্ঠুর ও সত্যনিষ্ঠ বিবরণ আছে শলোকভের ‘অ্যান্ড কোয়ায়েট ফ্লোজ দ্য ডন’ উপন্যাসে। এই উপন্যাসের নায়ক গ্রেগোরি মেলেখভ আগাগোড়া সোভিয়েত-বিরোধী। বিপ্লবের মধ্যে যে কত গোঁজামিল ছিল, তা এই উপন্যাস পাঠ করলে বোঝা যায়।
কিন্তু বিপ্লবোত্তর রাশিয়ার আসল চেহারা ফুটে উঠতে থাকে সোভিয়েত-বিরোধী লেখকদের লেখায়। আর, সত্য বলার অপরাধে রাষ্ট্র তাঁদের জন্য যথোচিত দণ্ডেরও ব্যবস্থা করতে থাকে। ১৯২১ সালে লেখা ‘উই’ উপন্যাসে একটি ডিসটোপিয়ার ছবি আঁকলেন ইয়েভগেনি জামিয়াতিন, যেখানে তিনি বিপ্লবোত্তর রুশ সমাজ নিয়ে তীব্র বিদ্রুপ করলেন। বরিস পাস্তেরনাক তাঁর ‘ডক্টর জিভাগো’ উপন্যাসে দেখালেন, বিপ্লবের চেয়ে প্রেম ও কাব্য অনেক বড়। ১৯১৯ সালে রাশিয়ায় বিপ্লবের চরম মুহূর্তে দেশে যে অসুস্থতা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছিল, তারই সত্যনিষ্ঠ বিবরণ দিলেন বরিস পিলনিয়াক তাঁর ১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘নেকেড ইয়ার’ উপন্যাসে।
এসবের পরিণতি ভাল হয়নি। গুলি করে হত্যা করা হয় ইসাক বাবেল-কেও। কারণ তিনি তাঁর দু’টি গল্পগ্রন্থ, ‘রেড ক্যাভালরি’ (১৯২৬) এবং ‘ওডেসা স্টোরিজ’ (১৯২৪)-এ পোলিশ-সোভিয়েত যুদ্ধ এবং রুশ বিপ্লবের শেষ দিনগুলোর তিক্ত ও অন্ধকার দিক নির্মমভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। মিখাইল জশচেঙ্কোর একমাত্র গল্পগ্রন্থ ‘নার্ভাস পিপল অ্যান্ড আদার স্যাটায়ার্স’ প্রকাশিত হতে পেরেছিল একমাত্র তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৬৩ সালে, কারণ ওই বইয়ে সোভিয়েত আমলাতন্ত্রকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
এঁদের সমসময়ে লিখতে এলেন মিখাইল বুলগাকভ। ‘ডায়াবোলিয়াড’, ‘দ্য ফ্যাটাল এগস’, ‘দ্য হার্ট অফ আ ডগ’ (১৯২৪-’২৫) এই ট্রিলজি উপন্যাসে বুলগাকভ কখনও দেখান, মৃত শহর মস্কোর দিকে বিশাল সব সাপ এগিয়ে আসছে, কখনও বা লেখেন লুম্পেন প্রলেতারিয়েতদের শ্রমজীবী হওয়ার সুযোগ নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়ার কাহিনি। ‘দ্য মাস্টার অ্যান্ড মার্গারিটা’ উপন্যাসে দেখা যায়, ফাউস্ট যেমন শয়তানের কাছে নিজের আত্মাকে বিকিয়ে দিয়েছিল, তেমনই দিয়েছে বিপ্লব-পরবর্তী রাশিয়া। সমস্ত শুভবোধকে সেখানে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং অশুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। ইউরি ওলেশার ‘এনভি’ উপন্যাসের নায়ক ঘোষণা করে, ‘তোমরা যা কিছু দমন করতে ও মুছে দিতে চাও, সেই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, করুণায় ভরা, দরদি হৃদয়ের জন্যই আমি লড়াই করছি।’
আন্দ্রেই প্লেতোনভ তাঁর ‘দ্য ফাউন্ডেশন পিট’ উপন্যাসে এক ডিসটোপিয়ার ছবি এঁকেছেন, যেখানে শ্রমিকরা সর্বস্ব পণ করে শুধু একটি গভীর গর্ত খুঁড়ে চলে, যার উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হবে দেশের প্রলেতারিয়েত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বিপুল অট্টালিকা। ‘হ্যাপি মস্কো’ উপন্যাসে প্লেতোনভ এমন একটি সুখী শহরকে দেখিয়েছেন, যেখানে অবিরাম চলে মিথ্যা প্রচার, মানুষ অত্যন্ত নিম্নমানের জীবন-যাপন করে এবং নারীরা বেঁচে থাকার জন্য বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য হয়।
ভাসিলি গ্রসম্যানের ‘লাইফ অ্যান্ড ফেট’ (১৯৫৯) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এক মহাকাব্যিক কাহিনি, যেখানে যুদ্ধ ও সমাজে বীরত্বের মিথ্যা প্রচারের আড়াল থেকে সোভিয়েত রাষ্ট্রের আসল সত্যকে তুলে ধরেছেন গ্রসম্যান, যা ছিল নানা দুর্বলতা এবং কপটতায় পরিপূর্ণ। তীব্র আক্ষেপে গ্রসম্যান লিখেছেন, ‘আমরা এক ভয়ংকর যুগে বাস করছি। ওরা আমাদের কুকুর ছাড়া আর কিছুই মনে করে না। তুমি যদি না খেতে পেয়েও মারা যাও, ওরা তোমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকবে, যেন কিছুই হয়নি। স্তালিনের চোখে সমাজতন্ত্রের ভিত্তি হল: নিশ্ছিদ্র সন্ত্রাস, কপটতা, শ্রমশিবির এবং মধ্যযুগীয় নৃশংস বিচারব্যবস্থা। নিষ্ঠুর এবং মেগালোম্যানিয়াক স্তালিন ভয়াবহভাবে অমানবিক।’ বিপজ্জনক মনে করে ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ‘এভরিথিং ফ্লোজ’ (১৯৬৩) উপন্যাসে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাস্তবতার সঙ্গে দান্তের নরক-বর্ণনার তুলনা টেনেছেন গ্রসম্যান। নোবেলজয়ী লেখক ইভান বুনিনকে প্রকাশ্যে ‘ধ্রুপদী রুশ লেখক’ বলার অপরাধে ১৯৩৭ সালে ভারলাম শালামভ-কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দীর্ঘ ১৭ বছর কোলিমা নদীর ধারের ভয়ানকতম ‘গুলাগ’ বা শ্রমশিবিরে থাকতে হয় তাঁকে। ‘কোলিমা স্টোরিজ’ বইয়ে সেই শ্রমশিবিরের নারকীয় ও অমানবিক অভিজ্ঞতাকে চিরভাস্বর করে রেখে গিয়েছেন শালামভ।
নোবেলজয়ী আলেকসান্দার সলঝেনিৎসিনকে দীর্ঘ আট বছর শ্রমশিবিরে কাটাতে হয়েছিল। তাঁর ‘ক্যানসার ওয়ার্ড’ (১৯৬৮) উপন্যাসে ক্যানসারকে একটি রূপক হিসাবে দেখানো হয়েছে, যেখানে গোটা দেশের দেহে শ্রমশিবিরগুলো পচনরোগের মতোই ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর ‘দ্য গুলাগ আর্কিপেলাগো’ (১৯৫৮-’৬৮) স্মৃতিকথা- ইতিহাস মেশানো এক পুলিশ-রাষ্ট্রের ধারাবিবরণী, যেখানে রয়েছে ‘গুলাগ’ শ্রমশিবিরগুলোর নারকীয় বর্ণনা। ২২৭ জন সাক্ষীর রিপোর্ট, স্মৃতিকথা ও চিঠিপত্র সংগ্রহ করে তিনি এই সুবিশাল গ্রন্থ রচনা করেন।
গোর্কি লিখেছিলেন- ‘মতবাদ হচ্ছে এমন আঁকিবুকি যা শিশুরা স্লেটে আঁকে।’ এভাবেই মতবাদের দুনিয়াকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি এবং উপলব্ধি করেছিলেন, ‘শেষ বিচারে জীবন বিদ্রোহীদের সৃজন নয়; বরঞ্চ তারাই জীবন-স্রষ্টা যারা বিশৃঙ্খলতার মাঝে শক্তি সঞ্চয় করে রাখে, যাতে শান্তির কালে তাকে ব্যবহার করা যায়।’ ক্লিমেরও তাই মনে হয়- ‘দেশে যা-ই ঘটুক, সেসবই ওকে ওর স্বকীয়তা খুঁজে পাওয়ার জন্যে রাস্তা সাফ করে দিচ্ছে!’ মানুষের জন্য যে বিপ্লব, সেখানে মানুষই ছিল সবচেয়ে উপেক্ষিত। গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মোহে সেখানে মানুষের চেয়ে যন্ত্রকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যাঁরা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন, তাঁরা টিকে গিয়েছেন। আর যাঁরা সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেছেন, তাঁদের জুটেছে মৃত্যু বা নির্বাসনের মতো কঠোর শাস্তি। সাহিত্যেও সেখানে নিজেদের সুবিধাজনক মতবাদকেই প্রচার করা হয়েছে। সাহিত্য হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রের কাছে আত্মপ্রচারের হাতিয়ার।
ব্যক্তির হৃদয়, আত্মা, প্রেম, যৌনতা, কাব্য, কল্পনা- সবকিছুকেই দলে, পিষে তাদের নিছক একটি ব্যবস্থার যন্ত্রাংশে পরিণত করা হয়েছিল। গ্রসম্যানের মনে হয়েছিল, ‘ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা, সমবেদনা এবং ভালবাসা যদি আমরা না দেখাতে পারি, তাহলে শেষ পর্যন্ত কোথাও পৌঁছন যাবে না।’ আমাদেরও প্রশ্ন জাগে, মিখাইল গর্বাচভ যে-ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে চেয়েছিলেন, তা কি সত্যিই শেষ পর্যন্ত খতম হয়েছিল? সাবেক সোভিয়েত তন্ত্রে ঘুণ ধরেছিল অনেক আগে থেকে। রাষ্ট্রানুকূল বা ‘প্রো’ নয়, এমন ঘরানার সোভিয়েত সাহিত্যে তা প্রতিফলিত-ও হয়েছে।