সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান উভয় দেশই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়৷ দুটি দেশ, দু’দেশের মানুষ ভাগ হয়ে গেলেও, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দু’দেশের সমস্যা আজ মেটেনি৷ আজও ভূস্বর্গে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশই৷ কিন্তু একথা তো সকলেরই জানা, “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়৷” তাই কাশ্মীর সমস্যার শিকার হল সেখানকার সাধারণ মানুষ৷ লড়াইয়ে মারা গেল বহু পুরুষ৷ ধর্ষণ করে খুন করা হল বহু মহিলাকে৷
হিংসা ও অত্যাচারের শিকার এমন বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরের উপত্যকায়৷ স্বর্গীয় উপত্যকা পরিণত হয়েছে মৃত্যু উপত্যকায়৷ বহু ক্ষেত্রেই মৃতদেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ঘরের ছেলে বা মেয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছেন৷ কেউ তাঁদের খুঁজে পাননি৷
কিন্তু হারিয়ে গিয়েছে বললেই কি হারিয়ে যায় সবাই? মৃতদেহ গায়েব করে দেওয়া যায়, নিজেদের কাজ হাসিল করতে৷ কিন্তু আত্মা? তাকে তো ছোঁয়া পর্যন্ত যায়না৷ গায়েব করা তো অসম্ভব৷ আর তাই হয়তো, কাশ্মীরের কুনন্দ পোশপরা গ্রামে আজও এমন বহু ঘটনা ঘটে জার যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ রাতের বেলায় গ্রামে এমন অনেকের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়, যাঁরা হয়তো কখনও গ্রামে ছিলেন৷ কিন্তু ধর্ষণ হয়েছিলেন নৃশংসভাবে৷
শোনা যায়, বহু বছর আগে নাকি এই দুই গ্রামে বেশ কিছু মহিলাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে৷ ধর্ষণের পরে তাঁদের খুন করা হয়৷
শোনা যায়, আজও সন্ধ্যার পর গ্রামে অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটে৷ পথ চলতি মানুষ বহু অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হন৷ শুধু তাই নয়, স্থানীয় মানুষের দাবি, ওই অশরীরী আত্মারা নাকি খুবই হিংস্র৷ তাদের অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আজও তাদের খোঁজ করে চলেছে৷
শোনা যায়, রাতের বেলা যদি বাইরে থেকে কোনও মানুষ গ্রামে আসেন, তাঁরা এই অশরীরীর পাল্লায় পড়েন৷ তাঁদের নানাভাবে হেনস্তা করে অশরীরীরা৷ তাঁদের আক্রমণ করে৷
তাই সন্ধ্যার পর এই দুই গ্রামে একা যাতায়াত করতে মানুষ ভয় পান৷
The post অশরীরীর উৎপাতে পর্যটকরা মুখ ঘুরিয়েছেন এই গ্রাম থেকে appeared first on Sangbad Pratidin.