দেব গোস্বামী, বোলপুর: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ইউনেস্কোর (UNESCO) ঐতিহ্যমণ্ডিত শান্তিনিকেতনের নামফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) নাম ফেরানোর দাবি নিয়ে ধরনা শুরু করল তৃণমূল নেতৃত্ব। বোলপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নেতৃত্বে বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) সামনে ধরনা মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন এলাকার দলীয় নেতা, কর্মীরা। মঞ্চে রয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া, অধ্যাপকদের একাংশ। শুক্রবার ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলল ধরনা। শনিবার থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু হবে।
গত মাসেই শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। তাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই স্বীকৃতির সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিদেশ সফরে। সেখান থেকেই X হ্যান্ডলে তিনি শুভেচ্ছা জানান। ঘনিষ্ঠ মহলে আনন্দ প্রকাশ করেন। কিন্তু তার পরই বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি পদক্ষেপ যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথেরই নাম! সেখানে লেখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। আর এতে স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ শান্তিনিকেতনবাসী।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক]
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)বলেন, ”শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী যে হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, তা তো রবীন্দ্রনাথের জন্যই। আর তাঁর নামই সরিয়ে দিল? এতদিন পুজো ছিল বলে কিছু বলিনি। আগামিকাল সকালের মধ্যে যদি না ফলকে নাম ফেরানো হয়, তাহলে ওখানে আমাদের দল রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন করবে।” সেই নির্দেশমতো শুক্রবার থেকে ধরনা শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সঙ্গী শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
[আরও পড়ুন: দাদার অনুপস্থিতিতে অসহায়! অনুব্রতর ভাইকে মার দুষ্কৃতীদের, ‘অসহযোগিতা’ পুলিশের]
নামফলক থেকে রবীন্দ্রনাথ উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে প্রবল আপত্তি জানিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এদিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও রাজভবনের তরফে পালটা ইমেলে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন, কার অনুমতিতে এই নামফলক বসানো হয়েছে? কেনই বা তাতে রবীন্দ্রনাথের নাম নেই।