নব্যেন্দু হাজরা: বেসরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া (Bus fare) নেওয়ার অভিযোগ পেলে এবার সেই বাসের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সেই বাসের পারমিটও বাতিল করা হতে পারে। শনিবার একথা সাফ জানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
এদিন কলকাতা পুরসভায় (KMC) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কোনও যাত্রী যদি প্রমাণ সমেত পুলিশ অথবা পরিবহণ দপ্তরে গিয়ে ওই বেশি ভাড়া নেওয়া বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সেক্ষত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পারমিট বাতিল হতে পারে। কিন্তু শুধু মুখে বললে হবে না যাত্রীদের প্রমাণ সমেত অভিযোগ জানাতে হবে।” জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে অনেকদিন ধরেই ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছিলেন বাস মালিকরা। কিন্তু রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই বাসের ভাড়া বাড়ায়নি। যে কারণে রাজ্যে বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ার পরও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় ছিলেন বাস মালিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘অন্য দলে যোগ দেব না’, ফেসবুকে লিখেও লাইনটি মুছলেন Babul, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা]
প্রথমে তাঁরা রাস্তায় গাড়ি নামাতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পরে নিজেরা বাস নামালেও অধিকাংশ রুটেই নেওয়া শুরু হয় বাড়তি ভাড়া। যা এখনও চলছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা ছাড়া এভাবে স্টেজ ক্যারেজে ভাড়া নেওয়া যায় না। একথা আগেও জানিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। কিন্তু সে কথায় কান না দিয়ে যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া এখনও চলছে। সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা নেওয়া হয়েছে। ১৫ কিংবা ২০ টাকা ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার ফলে মধ্যবিত্ত মানুষ সমস্যায় পড়ছেন।
বাস ভাড়াতেই মানুষের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। নতুন ভাড়ার টিকিটও নাকি ছাপিয়ে ফেলেছেন বাস মালিকরা। যা নিয়ম বিরুদ্ধ। রাস্তায় এমনিতেই বেসরকারি বাস কম। তার উপর অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর বাস পেলেও তাতে ইচ্ছে মতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এমনিতেই মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। অনেকের চাকরি নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভাড়া বাড়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। বাস মালিকদের দাবি, তাঁরা অনুদান হিসাবে এটা নিচ্ছেন। কারণ পেট্রল, ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে ভাড়া না বাড়ালে কোনওভাবেই রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয়।
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধরণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আইনের চোখে বাড়তি ভাড়া নেওয়াটা বেআইনি। কিন্তু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। সে কারণেই এটা হচ্ছে। আমরা এটা অনুদান হিসাবে নিচ্ছি। বাধ্য হয়েই এটা করতে হচ্ছে।”