shono
Advertisement

আত্মহত্যা করেছিলেন নির্যাতিতা! প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস ধর্ষণে অভিযুক্ত সাংসদ

ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৯-এর আগস্টে গ্রেপ্তার হন নেতা।
Posted: 08:41 PM Aug 06, 2022Updated: 08:41 PM Aug 06, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথ্যপ্রমাণ কথা বলে আদালতে। ফলে ভয়ংকর অভিযোগ থেকেও মুক্তি পেয়ে যান অভিযুক্ত। শনিবার আদালতের রায়ে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিএসপি (BSP) সাংসদ অতুল রাই (Atul Rai)। উল্লেখ্য, বিএসপি সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন যিনি, সেই ধর্ষিতা তরুণী ঠিক এক বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। ঘোসির বিএসপি সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক তরুণী। তিনি অভিযোগ করেন, অতুল তাঁকে বারাণসীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। তরুণীর অভিযোগের পরে প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করতে সময় লাগে কিছুটা। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার করা হয় অতুল রাইকে। এরপর থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন জগদীপ ধনকড়, জয় বিপুল ভোটে]

যদিও জেলে বসেই ধর্ষিতা তরুণীর উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন সাংসদ, এমন অভিযোগ উঠছিল। বছর ২৪-এর তরুণী জানিয়েছিলেন, যাতে করে মামলা প্রত্যাহার করা হয় তার জন্য নিরন্তর চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এই বিষয়ে ফেসবুক লাইভে মুখ খোলেন তরুণী। সেই সময় তিনি আরও জানান, পালটা তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাচ্ছেন নেতা। এই অবস্থায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: সস্তায় ট্যাটু করানোই কাল! বারাণসীতে HIV পজিটিভ দুই তরুণ, এলাকায় চাঞ্চল্য]

ফেসবুক লাইভের পরেই গত বছরের আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন নির্যাতিতা ২৪ বছরের তরুণী এবং তাঁর বন্ধু তথা ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়। এদিকে শনিবার তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত প্রভাবশালী নেতা বিএসপি সাংসদ অতুল রাই।  

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে জামিনের আবেদন করেছিলেন অতুল। সেই সময় এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) বিচারপতিদের বেঞ্চ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে। বিচারপতিরা আক্ষেপের সুরে বলেন, “সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদ ও আমলাদের মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক জোট গড়ে উঠছে। তার ফলে দেশের প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement