সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে বেড়ে গিয়েছিল মাদক (Drugs) পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। কিন্তু একাই তা অনেকটা থামাতে পেরেছিলেন। এরপর তাঁর হাতেই ধরা পড়েছিল এক বিজেপি নেতা–সহ সাত কুখ্যাত মাদক পাচারকারী। তবে উপযুক্ত প্রমাণের অভাব এবং তদন্তে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দিয়েছিল ইম্ফলের একটি আদালত। আর এরপরই সাহসিকতার জন্য ২০১৮ সালে পাওয়া ‘চিফ মিনিস্টার পুলিশ মেডেল’টিই ফিরিয়ে দিলেন মণিপুর (Manipur) পুলিশের এএসপি থৌওনাজম বৃন্দা। এমনকী চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকেও।
উত্তর–পূর্বের এই রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ছিল মাদক পাচারকারীদের ব্যবসা। তা রুখতেই “War Against Drugs’ কর্মসূচি নেয় মণিপুর সরকার। এরপর মাদক ব্যবসায়ীদের কোমর ভেঙে দেয় মণিপুর পুলিশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন থৌওনাজম বৃন্দা। মাদকপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেন। কার্যত থমকে যায় মাদক পাচারকারীদের ব্যবসা। এরপর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট খোদ মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের হাত থেকে সাহসিকতার জন্য ‘চিফ মিনিস্টার পুলিশ মেডেল’ও পান। এমনকী অ্যাডিশনাল সুপারিনডেন্ট পদেও উন্নতি হয় তাঁর। সেসময়ই সাত মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেন থৌওনাজম বৃন্দা। তাদের মধ্যে ছিল এক বিজেপি নেতাও। যা নিয়ে রাজ্যে যথেষ্ট হইচই পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: প্রায় অকেজো লালুর কিডনি! শোকজ করতেই রাতারাতি ভোলবদল চিকিৎসকের]
এদিকে, ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার হওয়া ওই সাতজনকে সম্প্রতি বেকসুর খালাস করে ইম্ফলের বিশেষ আদালত। জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই এবং পুলিশের তদন্তে খুশি নয় আদালতও। সেজন্যই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই নিজের পদক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন থৌওনাজম বৃন্দা। চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীকেও জানান। পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে আমি নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। এই পদক বা সম্মান পাওয়ার যোগ্য আমি নই। তাই আমার এই পদকটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ফেরালাম।’’