সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: জলপাইগুড়ির পর দুর্গাপুর (Durgapur)। মহকুমা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত তিন শিশু। দিনকয়েক আগে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয় তারা। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায় ওই তিন শিশু করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই সম্পূর্ণ আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তাদের। প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল।
এর আগে জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুর শরীরে মেলে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। কোভিড আক্রান্ত শিশুর মা-ও। দু’জনকেই আলাদা করে কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৪৫ জন শিশু জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভরতি হয়। বিকেলেও একই ইনঞ্জেকশন দেওয়ার পর ১৫ জন শিশু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একে একে আতঙ্কে সন্তানদের নিয়ে হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করেন তাঁদের পরিজনেরা। বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: শোভনের বেহালার বাড়ি কিনে নিলেন বৈশাখী, রত্নাকে ‘সসম্মানে’ বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ]
অসুস্থ শিশুদের কোলে নিয়েই বিক্ষোভে শামিল হন মায়েরা। মুহূর্তে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। শিশুদের নিয়ে পরিজনেরা বাইরে বেরিয়ে আসায় হাসপাতাল চত্বরে রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ডিসচার্জ সার্টিফিকেট ও চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই হাসপাতাল থেকে সন্তানকে নিয়ে চলে যান অনেকেই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। তারা কোনরকমে রোগীর পরিজনদের শান্ত করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ এবং হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শিশুদের পরিজনেরা। ইঞ্জেকশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেই জানান হাসপাতাল সুপার। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন শিশুর শরীরে থাবা বসাল করোনা।