অর্ণব আইচ: আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে চুরি লুপ্তপ্রায় ৩টি ‘কিল বিলড টউকান’ (Keel-billed toucan) পাখি। গ্রাম বাংলায় এটি ধনেশ পাখি বলেও পরিচিত। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: কূটনৈতিক জয় ভারতের, নীরব মোদির প্রত্যর্পণে সবুজ সংকেত ব্রিটিশ আদালতের]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পাখিগুলির খাঁচার তার কাটা অবস্থায় দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। খাঁচার মধ্যে একটি ‘বার্ড ক্যাচার’ বা পাখি ধরার ফাঁদও পাওয়া যায়। মনে করা হচ্ছে, গতকাল রাত ১২টা থেকে ১২.৩০টার মধ্যে পাখিগুলিকে চুরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। খাঁচা থেকে মাত্র ২৫ মিটার দূরে থাকলেও কেন টের পাননি নিরাপত্তারক্ষী, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই খাঁচার পাশে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই টাউকান বা ধনেশ পাখিগুলি অত্যন্ত বিরল। ভারতের জঙ্গলে মাঝেমধ্যে দেখা মিললেও শিকারিদের হানায় এদের সংখ্যা বিপজ্জনকভাবে কমে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে গোসাপ-সহ অন্য প্রাণী চুরি গিয়েছে। এর নেপথ্যে একটি আন্তর্জাতিক চক্রের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভারত থেকে বাংলাদেশ বা নেপাল হয়ে হংকং, থাইল্যান্ড ও চিনের বাজারে পাচার হয়ে যায় বহু লুপ্তপ্রায় প্রাণী।
[আরও পড়ুন: দেশ থেকে ঘুচে গেল চরম দারিদ্র! চিনা প্রেসিডেন্টের চমকপ্রদ দাবি ঘিরে শোরগোল]
এর আগে উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারে চিনা-যোগের হাতে গরম প্রমাণ পেয়েছে বনদপ্তর। শিলিগুড়ি থেকে ধরা পড়েছিল তিনজন পাচারকারী। তাদের জেরা করে জানা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচার হচ্ছে চিনে। কারণ এখান থেকে খুব কাছেই নেপাল ও ভূটান সীমান্ত। ফলে গড়ে উঠেছে চোরকারবারীদের আন্তর্জাতিক চক্র। কলকাতা থেকে কোনও প্রাণীকে এখান থেকে পাচার করা সহজ।