অর্ণব আইচ: দোলে (Dol) রং খেলার আনন্দের পর বিপর্যয়। খেলার পর স্নান করতে গিয়ে কলকাতার (Kolkata) তিন জায়গায় জলে ডুবে মৃত্যু হল তিন কিশোর ও এক তরুণের। তার মধ্যে কলকাতার দুটি পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একজন তলিয়ে গিয়েছেন গঙ্গায়। এছাড়াও শহরের আরেকটি পুকুর থেকে এদিন উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার চেতলায় একটি ঘটনা ঘটে। চেতলার রাখালদাস আড্ডি রোডে রয়েছে পুকুরটি। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নামে সমীর সিং নামে ১৭ বছর বয়সের এক কিশোর। দক্ষিণ কলকাতার নেপাল ভট্টাচার্য ফাস্ট লেনে তার বাড়ি। শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে এই পুকুরটিতে স্নান করতে নামে সে রং মেখে হৈ-হুল্লোড় করেই স্নান করছিল কয়েকজন কিশোর। এর মধ্যে হঠাৎই তলিয়ে যেতে থাকে সে। বন্ধুরা তাকে তোলার চেষ্টা করলেও সে ডুবে যেতে থাকে। খবর পেয়ে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা সাঁতার কেটে তাকে পারে তুলে নিয়ে আসেন। অচেতন অবস্থায় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চেতলা (Chetla) থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখানো নিয়ে বচসা, রিজেন্ট পার্কে গুলিতে খুন যুবক!]
দুপুর দেড়টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার ব্রহ্মপুর এলাকার একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়ে মৃত্যু হল ১৪ বছরের কিশোর সাগ্নিক কর্মকার। সে ব্রহ্মপুর মোড়ের কাছেই থাকে। এখানেই রয়েছে পুকুরটি। দোল খেলার পর সে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যেতে থাকে। এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাই সাঁতরে গিয়ে তাকে পাড়ে তুলে নিয়ে আসেন। বাঘাযতীন (Baghajatin) স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁশদ্রোনি থানার পুলিশ। সে দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। সকালে বাড়িতে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে দোল খেলতে যাচ্ছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই অভিভাবকদের কাছে এই বিপর্যয়ের খবর এসে পৌঁছয়। শোকের ছায়া ব্রহ্মপুর এলাকায়।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে ফের করোনার দাপট, রাজ্যগুলিকে নয়া নির্দেশিকা মোদি সরকারের]
শুক্রবার দুপুরে উত্তর কলকাতার গঙ্গার বাগবাজার ঘাটের কাছে বটতলা ঘাটে দোল খেলার পর স্নান করতে নেমেছিলেন অভ্রনীল পাত্র নামে ওই তরুণ। তার বয়স ১৮ বছর। হঠাৎই গঙ্গার স্রোতে তিনি তলিয়ে যেতে থাকেন। নৌকার মাঝি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা তাঁকে তুলে নিয়ে আসেন। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের দাবি, সাঁতার না জেনে জলে নামার ফলে দুই কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।