সুব্রত বিশ্বাস: বাড়ি থেকে স্টেশন অনেক দূর। সেখানে গিয়ে দূরপাল্লা ট্রেনের (Train) সংরক্ষিত টিকিট কাটতে হবে। এই অসুবিধার মধ্যে পড়ে অসংখ্য যাত্রী তাঁদের রেলপথে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হন। এই অসুবিধার মধ্যে পড়া মানুষজনকে এবার স্বস্তির বার্তা দিয়েছে রেল। এবার বাড়ির কাছের ডাকঘরে মিলবে সংরক্ষিত টিকিট। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনও যাতে এই বিশেষ সুবিধা পান সেজন্য পোস্টাল বিভাগের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে রেল। রেলের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কোন কোন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলি থেকে বহু দূরে রিজার্ভেশন কাউন্টার ও স্টেশন রয়েছে।
রেল বোর্ড বিশেষ এই পরিষেবা দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে কিছুদিন আগেই। ইতিমধ্যে পশ্চিম-মধ্য রেলের ভোপালে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ডাকঘরকে এই পরিষেবার আওতায় আনা হয়েছে। চোদ্দোটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকাকে কেন্দ্র করে এই পাঁচটি ডাকঘর। যেখানে মানুষজন এই পরিষেবা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। এই পরিষেবা শুরুর আগে ডাকঘরগুলিতে কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে রেল। রেলের নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটির সঙ্গে হার্ডওয়্যারে ব্যবস্থা করবে রেলই। ছোট শহরগুলি ছাড়া গ্রামেও এই পরিষেবা যাতে বিস্তার লাভ করে সেদিকে নজর রেখে রেল কাজ শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্রকে সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট]
পূর্ব রেলের এজিএম জয়দীপ গুপ্তা জানান, বোর্ডের পলিসি অনুযায়ী পোস্টাল বিভাগ ডাকঘরে রেলের টিকিট সংরক্ষণের কাউন্টার খুলতে চাইলে রেল তার অনুমোদন দেবে। এজন্য বিভাগীয়ভাবে আয়ের জন্য রেল কমিশন থেকে অন্য যে সুবিধা দেওয়ার দরকার তা সবই দেবে। তবে এখনও রাজ্যের কোথায় কোন ডাকঘরে বিশেষ এই পরিষেবা চালু হবে তা ঠিক হয়নি। রাজ্যের ভিতরের ডাকঘরগুলির তরফেও কোনও আবেদন এলে পরিষেবা চালুর ব্যবস্থা করবে পূর্ব রেল। পোস্টাল বিভাগের সঙ্গে রেল আলোচনা শুরু করেছে যেখানে স্টেশন দূরে, টিকিটের চাহিদা রয়েছে এমন ডাকঘরগুলিতে যাতে এই পরিষেবা চালু করা যায়, সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রেল।
এদিকে আইআরসিটিসি অ্যাপ থেকে টিকিট কাটার জন্য নিয়ম কিছু বদল করল রেল। এবার থেকে এই অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট কাটতে হলে এবার থেকে ইমেল আইডি, ফোন নম্বর ভেরিফাই করতে হবে। সেজন্য মোবাইলে আসবে একটি ওটিপি। সেটি অ্য়াপে পোস্ট করলেই ভেরিফাই হবে অ্যাকাউন্ট।