সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের মনে। প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণের পর বনদপ্তরের অনুমান ছাপগুলি বাঘের। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই ঝাড়গ্রামে বাঘ ধরতে খাঁচা পাতছে বনদপ্তর। সোমবার সকাল থেকেই বনদপ্তরের আধিকারিকরা খাঁচা পাততে পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে।

রবিবার ঝাড়গ্রামের লক্ষণপুর গ্রামের চাষের জমিতে বড় বড় পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। তাঁরা খবর দিলে বনদপ্তরের আধিকারিকরা পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে রাতেই ছাগল দিয়ে খাঁচা বসানোর প্রস্তুতি শুরু করে বনদপ্তর। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ার ফলে খাঁচা পাতা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার আবারও বিনপুর থানার কাঁকো অঞ্চলের মালাবতি গ্রাম লাগোয়া রাস্তার ধারে নরম মাটির উপর দেখা যায় পায়ের ছাপ। এদিন আবারও পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ার ফলে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সকাল থেকে টোপ দিয়ে খাঁচা পাতার প্রস্তুতি শুরু করেছে বনদপ্তর।
[আরও পড়ুন: বাঙালি বলেই গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা, যোগীরাজ্য থেকে মালদহে ফিরছেন শ্রমিকরা]
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বলেন, “পায়ের ছাপ গুলো বেশ বড়ই আছে।বাঘের পায়ের ছাপের মতই মনে হচ্ছে। আমরা এলাকায় তল্লাশী চালাচ্ছি। আরও নিখুঁত ভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”এদিকে এলাকার লক্ষনপুর, মলাবতি, কালিয়াম, সাতবাঁকি-সহ লাগোয়া গ্রামগুলিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে ঝাড়গ্রামের লালগড়ে দেখা মিলেছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে লালগড়ের মেলখেড়িয়ার জঙ্গলে বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরাতে প্রথম বাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছিল।তারপর বেশ কয়েক মাসধরে বাঘটি পার্শবর্তী ব্লক গুলির জঙ্গলে ঘূরে বেড়িয়েছিল। বাঘের লোকেশন ট্র্যাক করতে ড্রোন ক্যামরাও ওড়ানো হয়েছিল। পরে মৃত্যু হয় বাঘটির।
The post ক্রমশ জোরাল হচ্ছে ‘বাঘ’ আতঙ্ক, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে পাতা হল খাঁচা appeared first on Sangbad Pratidin.