সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলি করে হত্যা করা হল ‘মানুষখেকো’ আভনিকে৷ শুক্রবার গভীররাতে মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমাল জঙ্গলের ভিতরে ওই বাঘিনীকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়৷ হায়দরাবাদের শার্প শুটার নবাব শাফাত আলি খানের ছেলে আজগরের গুলিতে প্রাণ গেল এই বাঘিনীর৷
বাঘিনী আভনি-র ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমাল জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা৷ তাঁদের দাবি, ‘মানুষখেকো’ ছিল আভনি৷ এখনও পর্যন্ত সে নাকি ১৪ জনকে মেরে ফেলেছিল৷ তাই টি১-কে ধরতে রীতিমতো মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল৷ দেশের উচ্চপদস্থ বনাধিকারিক থেকে শুরু করে প্রায় ২০০ জন বনকর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল৷ ৬০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন, স্নিফার ডগ এবং হ্যাং গ্লাইডারও ছিল তাঁদের কাছে৷ এছাড়াও আভনির খোঁজে বন দপ্তরকে সাহায্য করেছিলেন গল্ফার ও ডগ ট্রেনার জ্যোতি রণধাওয়া৷ বছরখানেক ধরেই আভনিকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছিল৷
[‘না’ বলার অধিকার আছে যৌন কর্মীদেরও, জানাল সুপ্রিম কোর্ট]
অবশেষে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ হায়দরাবাদের শার্প শুটার নবাব শাফাত আলি খানের ছেলে আজগরের গুলিতে প্রাণ গেল এই বাঘিনীর৷ পাঁচবছর বয়সী ওই বাঘিনীর দুটি শাবকও রয়েছে৷ সূত্রের খবর, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে বনদপ্তরের কোনও পশু চিকিৎসক ছিলেন না৷
[নির্মল হওয়ার দৌড়ে শূন্য পেল মোদির দত্তক নেওয়া গ্রাম]
এই ঘটনায় বন দপ্তর তাদের নিজস্ব নিয়ম ভেঙেছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ হাই কোর্ট এমনকী সুপ্রিম কোর্টেরও নিয়ম ভেঙেছেন বনকর্মীরা৷ নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বাঘ ঘুম পাড়ানো বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু এক্ষেত্রে আভনিকে প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বশে আনার চেষ্টা না করেই কেনও সরাসরি হত্যা করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ আভনিকে ধরার জন্য কেন করসো কুকুরকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল, ওই বিষয়টি প্রশ্নচিহ্নের মুখে৷ নাগপুরের গোরেওয়াড়া রেসকিউ সেন্টারে আপাতত আভনির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷
The post অবশেষে গুলিতে খুন ‘মানুষখেকো’ বাঘিনী আভনি, ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা appeared first on Sangbad Pratidin.