সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার ধর্ষকদের নিজের হাতে ফাঁসি দিতে চেয়ে ১৫টি আবেদনপত্র জমা পড়ল তিহার জেলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি আমেরিকা-লন্ডন থেকেও আরজি পাঠিয়েছেন কয়েকজন। চলতি মাসেই ফাঁসি দেওয়া হতে পারে চার দোষীকে। কিন্তু তিহার জেলে কোনও ফাঁসুড়ে নেই। তাই অন্য জেল থেকে ফাঁসুড়ে আনা হতে পারে। এই খবর চাউড় হতেই ফাঁসি দিতে চেয়ে তিহার কর্তৃপক্ষের কাছে একের পর এক আবেদন জমা পড়েছে।
জেল সূত্র জানা গিয়েছে, দিল্লি, গুরগাঁও, মুম্বই, ছত্তিশগড়, ভোপাল, কেরালা, তামিলনাড়ু থেকে আবেদন জমা পড়েছে। এমনকী আমেরিকা ও লন্ডনেরও দুই নাগরিক ফাঁসি দিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে চাটার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ও অ্যাডভোকেটও রয়েছেন। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাইরের কারওর সাহায্য প্রয়োজন হয় না। যদি ফাঁসুড়ে না মেলে তাহলে জেলেরই কোনও আধিকারিক সেই দ্বায়িত্ব পালন করবেন। যেমনটা আফজল গুরুর সময় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এখন তিহার জেলে মোট ১২ জন ফাঁসির আসামী আছে। কিন্তু জেলে কোনও ফাঁসুড়ে নেই। সূত্রের থবর, ফাঁসুড়ে চেয়ে মীরাট জেলে চিঠি লিখেছিলে তিহার কর্তৃপক্ষ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, তিহার কর্তৃপক্ষকে ফাঁসুড়ে প্রস্তুত আছে বলেই জানিয়ে্ছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, “আমাদের দুই ফাঁসুড়ে তৈরি আছে। চাইলেই দিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন : বন্ধ ইন্টারনেট, টুইটারে মোদির আশ্বাসবাণী দেখতেই পেলেন না অসমবাসী!]
জানা গিয়েছে, তিহার জেলে শেষ ফাঁসি হয়েছিল সংসদে হামলাকারী আফজল গুরুর। সেসময়ও তিহারে কোনও ফাঁসুড়ে ছিল না। এবার সে ধরনের সমস্যা এড়াতে কোমর বেঁধে নেমেছেন জেল কর্তারা। তাই এবার বিড়ম্বনা এড়াতে আগেভাগেই ফাঁসুড়ের খোঁজ শুরু করে দিয়েছিল তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য জেলের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের একাধিক গ্রামেও নাকি ফাঁসুড়ের খোঁজ চালানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই এলাকার গ্রাম থেকেই শেষ ফাঁসুড়কে পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেরকম কাউকে পাওয়া যায় কি না তা দেখতে চান পুলিশ কর্তারা।
[আরও পড়ুন : CAB, এনআরসির প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক বামেদের]
কিন্তু কেন এমন অবস্থা? পুলিশ সূত্রে খবর, আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলায় একমাত্র ফাঁসির সাজা হয়। ফলে ‘ফুলটাইম’-জন্য কোনও ফাঁসুড়ে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী খুঁজে নিতে হয়।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, দিল্লির রাজপথে নির্ভয়ার উপর নেমে এসেছিল নারকীয় অত্যাচার। তাই ওই দিনই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা কার্যকর করার দাবি উঠছিল দেশজুড়ে। এই সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আবার অক্ষয় ঠাকুর প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, আগামী ১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনের ফের শুনানি হবে। দুপুর ২টোয় তিন বিচারপতির বেঞ্চে হবে শুনানি। তাই তার আগে পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর হবে না।
The post নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দিতে চেয়ে দেশ-বিদেশ থেকে ১৫টি আবেদন তিহারে appeared first on Sangbad Pratidin.