সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ত্রিপুরায় (TMC in Tripura) ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল প্রার্থী। আগরতলা পুরভোটের মহিলা তৃণমূল প্রার্থী অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন থানায়। পুলিশের সেই সদর কার্যালয় থেকে তাঁকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, রাজ্যের অন্য একটি থানায় ওই মহিলাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ তাঁকেই জেরা করবে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দেব এবার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন। বারবার তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মহিলা প্রার্থীর কথায়, গতকাল অর্থাৎ রবিবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার সারছিলাম। তখন বিজেপি সমর্থকরা আমাদের বাধা দেয়। তখনই পূর্ব থানায় আমি অভিযোগ জানাই। পুলিশ বলেছিল, তাঁরা আমাকে নিরাপত্তা দেবেন। এদিন সকালে ফের প্রচারে বেরিয়ে বাধার মুখে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Updates: ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটকে স্বীকৃতির উপহার, ভারতে এসে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না বিদেশিদের!]
পান্নাদেবী জানান, প্রচারের সময় বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাধা দেয়। এমনকী, তৃণমূল সমর্থকদের মারধর করা হয়। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে তারাও বিজেপির সুরে সুর মেলায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, “পুলিশও বলতে থাকে, ওরা যখন চাইছে না, কেন প্রচার করছেন? আপনার প্রাণের ভয় নেই?” এর পরই ওই মহিলা প্রার্থী আগরতলায় পুলিশের সদরদপ্তরে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হল। অভিযোগ, মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাঁকে চ্যাংদোলা করে সদর দপ্তর থেকে বের করে রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে যান। এরপর তাঁকে অন্য একটি থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: কর্তব্যরত অবস্থায় জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ, মালদহে সাসপেন্ড ৫ সিভিক ভলান্টিয়ার]
তবে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিং। তাঁর কথায়, “কাপুরুষের মতো আচরণ করছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা করছে ওঁরা।” সে রাজ্যের পুরভোটের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপি আতঙ্কিত। তাদের এই আচরণের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।”