কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ফের রাজনৈতিক মহলে থাবা করোনার (Coronavirus)। এবার ভাইরাসের দাপটে প্রাণ হারালেন বিধাননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বসু। অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছিলেন তিনি। লড়াকু কাউন্সিলরের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
গত ২৪ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিধাননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বসু। জ্বর, শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। তারপরই করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই স্পষ্ট হয় যে কাউন্সিলর করোনা আক্রান্ত। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় তাঁর। তবে তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা করা গেল না। বুধবার সকালে বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হল কাউন্সিলরের।
করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়তে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাড়িতে বসেছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে সেই সময় সংক্রমণের আশঙ্কাকে দূরে সরিয়ে রাস্তায় নেমে কাজ করেছিলেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। কখনও রাস্তায় নেমে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। আবার কখনও দরিদ্রদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন খাবারদাবার। এমন জনদরদী নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: UPSC’র ফলাফলে চমক, দেশের হবু আমলাদের শীর্ষ তালিকায় কলকাতার ২ মেধাবী]
এদিকে, হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জটু লাহিড়ীও করোনা আক্রান্ত। সোমবার তাঁর রক্তচাপজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মঙ্গলবারই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত সেখানেই ভরতি রয়েছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত ৩০ জুলাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মরদেহ বিধানসভায় আনা হয়। সেখানে তাঁর সহযোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন জটু লাহিড়ী। বিধানসভায় থাকাকালীনই বেশ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন বিধায়ক। তাই তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেই ইতিমধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। উপসর্গ দেখা দিলে করানো হবে কোভিড পরীক্ষাও।
[আরও পড়ুন: ‘রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন লকডাউন করে ভাল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, সুর নরম দিলীপের]
The post করোনা রোধে রাস্তায় নেমে কাজ, ভাইরাসের বলি বিধাননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর appeared first on Sangbad Pratidin.