shono
Advertisement

Breaking News

‘কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে’, ধনকড়কে নালিশ তৃণমূলের

'তৃণমূলের সঙ্গে রাজভবনের যোগাযোগ জারি থাকবে', বৈঠক শেষে বেরিয়ে বললেন কুণাল ঘোষ।
Posted: 02:46 PM Jun 28, 2022Updated: 05:24 PM Jun 28, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিটফান্ড দুর্নীতিতে বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা অভিযুক্তদের ছাড় এবং সিবিআই, ইডির পক্ষপাতিত্ব। জোড়া অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল যান রাজভবনে (Raj Bhavan)। দীর্ঘক্ষণ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে কথাবার্তা বলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষরা। তাঁর সঙ্গে মত বিনিময় হয়েছে। রাজ্যপাল নিজেও এনিয়ে টুইট করেছেন।  

Advertisement

 

রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ  (Kunal Ghosh) বলেন, ”রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। আমরা তাঁকে নিজেদের সব কথা জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একই মামলায় তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অথচ বিজেপিতে থাকলেই ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি তাঁর নজরে এনেছি। তিনি শুনে নিজের মতামত দিয়েছেন, আমরাও পালটা বলেছি যে আমরা কী মনে করছি। তৃণমূল এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এই আলোচনা জারি থাকবে।”

[আরও পড়ুন: জেলায় ইলেকট্রিক অটোর চাহিদা তুঙ্গে, তিন চাকার এই যান এবার চলবে কলকাতাতেও]

এদিন ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) নেতৃত্বে রাজভবনে যাওয়া প্রতিনিধিদলের তালিকায় কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ ছাড়াও ছিলেন শশী পাঁজা, তাপস রায়, সদ্য দলবদল করা অর্জুন সিং। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাঁরা। কুণাল ঘোষের কথায়, ” কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। ইডি, সিবিআইয়ে বহু কৃতি অফিসার আছেন, তাঁদের রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। বিজেপিতে যারা নাম লেখাচ্ছে, তাদের আইনের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে। বিজেপি যেন ওয়াশিং মেশিন। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করার পরও কেন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? ভয় দেখিয়ে ব্ল্য়াকমেল করার মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আমরা আবেদন জানিয়েছি। তৃণমূল ও সরকারের সঙ্গে রাজভবনের এই যোগাযোগ জারি থাকবে।”  এনিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন রাজ্যপালকে।

[আরও পড়ুন: দলীয় কোন্দলে জর্জরিত গেরুয়া শিবির, বঙ্গ বিজেপির ক্ষত মেরামতে রাজ্যে আসছেন হেভিওয়েট নেতারা]

ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ”রাজ্যপাল আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তাঁর নিজের মতামত জানিয়েছেন। ভালভাবেই কথাবার্তা হয়েছে আমাদের। আশা করি, যে বিশেষ ইস্যুতে আমাদের প্রতিবাদ, তা গুরুত্ব দিয়ে উনি বিবেচনা করবেন।” প্রসঙ্গত, রাজভবন আর নবান্নের সম্পর্ক বিশেষ মধুর নয় কখনওই। নানা বিষয়ে বারবার সংঘাত হয়েছে। তবে এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষপাতিত্ব নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানানোর পর সেই সংঘাত কিছুটা হলেও কমল।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement