সন্দীপ চক্রবর্তী: অশান্তির আগুন যেন কিছুতেই নিভছে না ত্রিপুরায় (Tripura)। আগরতলায় পুরভোটের আর মাত্র দু’দিন বাকি। আজই শেষ প্রচার। তার আগেও তৃণমূলের (TMC) উপর হামলার ঘটনা অব্যাহত। সোমবার গভীর রাতে বড়জোলা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও প্রার্থীর কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই খবর। অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। ঘটনা ঘিরে ফের মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়।
আগরতলা (Agartala) ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌরী মজুমদার। তিনি বড়জোলার বাসিন্দা। সোমবার গভীর রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে একদল দুষ্কৃতী গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রার্থী গৌরী মজুমদারের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রচারের ময়দান থেকে তৃণমূলকে সরাতেই ভোটের আগে হামলা অব্যাহত। তবে তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পালটা দাবি, তাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।
তবে এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ (Sudip Roybarman) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে একহাত নিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর বক্তব্য, এই পরিস্থিতির জন্য আদতে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলের কর্মী, সমর্থকরাই দূরে সরে যাচ্ছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনা দরকার। পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তিনি। রাজ্য সরকার সঠিকভাবে শত্রুকে চিনতে ভুল করছে বলেও মত সুদীপ রায়বর্মণের।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে আরও কমল করোনার দাপট, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫৭৯ জন]
এদিকে, আজই পুরভোটের শেষ প্রচারের দিন। প্রচার শেষ করেই ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ শুরু হবে বিপ্লব দেবের রাজ্যে। এদিন ত্রিপুরা হাই কোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সাফ জানিয়েছে, ভোটে সেনসিটিভ ম্যাপিং সিস্টেম রাখতে হবে। খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। অন্যদিকে, ত্রিপুরার আইশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূলের দায়ের করা মামলার শুনানি হবে দুপুরে। তার আগে তৃণমূলের আবেদন, সন্ত্রস্ত আবহে পুরভোট সম্ভব নয়, তা পিছিয়ে দেওয়া হোক।