সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাজ্যের কড়া বিধিনিষেধ চলছে। এই সময় যাতে কারোর দুবেলা দু’মুঠো খাবারের অভাব না হয় তাই পুরুলিয়ায় (Purulia) চালু হল ‘দিদির রান্নাঘর’। পুরুলিয়া শহর যুব তৃণমূলের কর্মী-সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুর শহরে এই কর্মসূচি শুরু করেন। একইভাবে বুধবার থেকে রঘুনাথপুর পুর শহরেও স্থানীয় নেতৃত্ব এই কর্মসূচি শুরু করবেন। তার নেতৃত্ব থাকছেন রঘুনাথপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরি।
‘দিদির রান্নাঘর’–এ ভাত, ডাল, তরকারি সঙ্গে ডিম, মাছ বা মাংস রান্না হবে। শহরের সকলকে বিনামূল্যে খাবার দেবে এই রান্নাঘর। অতিমারী পরিস্থিতিতে কড়া বিধিনিষেধে যখন দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ তখন অভুক্তদের মুখে অন্ন দেবে ‘দিদির রান্নাঘর’। এ প্রসঙ্গে সভাধিপতি বলেন, “অতিমারীতে কড়া বিধিনিষেধের সময় আমাদের এই কর্মসূচি চলবে। এই সময় যাতে কোনও মানুষ অভুক্ত না থাকেন সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই যেভাবে পারব দুপুরের অন্নটুকু তুলে দেব।” তাই দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ও শহর পুরুলিয়ার বেলগুমাতে ‘দিদির রান্নাঘর’ নামে দু’টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। বেলা ১২ টা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত এখানে দুপুরের খাবার মিলবে বিনামূল্যে। এছাড়া শহর যুব তৃণমূল এই কাউন্টার থেকে শহর ও তার আশেপাশে ঘুরে ঘুরে ভবঘুরেদের মুখে অন্ন দেবে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত ১৪৫, সংক্রমণের নিরিখে ফের কলকাতাকে টপকাল উঃ ২৪ পরগনা]
রঘুনাথপুর শহরেও প্রায় একইভাবে এই কর্মসূচি চলবে। রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সামনে একটি কাউন্টার থেকে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। এখানে অবশ্য বেলা ১২ টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত কাউন্টার খোলা থাকবে। রঘুনাথপুর পুর শহরে বিধানসভা তৃণমূল এই কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি হাজারি বাউরি এই বিধানসভার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন। এই কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও মানুষ সমস্যায় পড়লে ওই হেল্পলাইন নম্বর ৯৮০০৮৯৭১২৪–এ ফোন করলেই তা সমাধান করবেন ওই প্রার্থী। একইভাবে বাঘমুন্ডি বিধানসভাতেও একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। ৭৬৭৯৪৪১৪৪২ নম্বরে ফোন করলেই কোভিড সংক্রান্ত সমস্যার সুবিধা মিলবে।