সন্দীপ চক্রবর্তী: ত্রিপুরা থেকে দিল্লি উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার বিকেলে সায়নী ঘোষের জামিন পাওয়ার পরই দিল্লি রওনা দেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধানীতেই রয়েছেন। এমন সময় অভিষেকের দিল্লি সফর যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কী কারণে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে অভিষেকের দিল্লি সফর? ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, ত্রিপুরা সরকার আদালত অবমাননা করছে। সোমবার সেই মামলা শীর্ষ আদালতে গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার রয়েছে শুনানি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই ত্রিপুরা থেকে সরাসরি দিল্লি উড়ে গেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh: ‘সত্যের জয়’, জামিন পেয়ে হুঙ্কার সায়নী ঘোষের]
২৯ তারিখ থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু। তার আগে রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে মোদি সরকার। এদিকে সংসদে তৃণমূলের কৌশল কী হবে, তা কার্যত ঠিক করেন অভিষেক। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই ভূমিকা পালন করছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, চলতি সফরে সেই কৌশল ঠিক করার কাজটা সেরে ফেলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’।
আবার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দল বদল করতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে এই দলবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেই হাই প্রোফাইল দলবদলের অংশ হতেও দিল্লি উড়ে যেতে পারেন অভিষেক। তবে সবটাই জল্পনা। কারণ, তৃণমূলের তরফে অভিষেকের দিল্লি সফর নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। মুখ খোলেননি অভিষেকও। ফলে তাঁর এই সফর ঘিরে বেড়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা ছাড়া দেশে আর BJP বিরোধী শক্তি নেই’, নাম না করে কংগ্রেসকে খোঁচা অভিষেকের]
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বকেয়া পাওয়ার দাবি, বিএসএফের (BSF) কাজের ক্ষমতাবৃদ্ধি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিনের সফরের তৃতীয় দিন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন বলে সূত্রের খবর।