সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোর্ডিংয়ে রবি ঠাকুরের উপরে স্থান পেয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ছবি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল (TMC)। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার জানালেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। সঙ্গে নাম না করেই শুভেন্দু-সহ দলবদল করা নেতাদের সঙ্গে মীরজাফর, জগৎ শেঠদের তুলনা টানলেন রাজ্যের মন্ত্রী। অমিত শাহের একাধিক দাবিকে মিথ্যে বলে উল্লেখ করে তুলে ধরলেন একাধিক তথ্য পরিসংখ্যানও।
কনকনে শীতের মাঝেও বঙ্গ রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে। অভিযোগ, পালটা অভিযোগে সরব সবপক্ষই। অমিত শাহের শান্তিনিকেতন সফরের আগেই বিতর্ক বাঁধায় বিজেপি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে বোলপুরকে শাহর ব্যানার, পোস্টারে প্রায় মুড়ে ফেলে। সেখানকার ফ্লেক্সে দেখা গিয়েছে, অমিত শাহের ছবির নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি, তার নিচে আবার স্থানীয় বিজেপি (BJP) সাংসদ অনুপম হাজরার ছবি। কেন ব্যানারে অমিত শাহর নিচে রবীন্দ্রনাথের স্থান? এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রবীন্দ্রপ্রেমী মানুষজন।
[আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে সভা বিমল গুরুংয়ের, ‘ডুয়ার্সে এলে আগুন জ্বলবে’, হুমকি আদিবাসী পরিষদের]
সেই আবেগকে হাতিয়ার করে এদিন দিনভর প্রতিবাদ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকেও বিজেপিকে ঝাঁজালো আক্রমণ শানালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বললেন, “যাঁরা বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না, বাংলার গর্ব বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান দেয় না, তাঁরা আবার বাংলা দখলের স্বপ দেখেন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তিভাঙা প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো আস্থাভাজন সুব্রতবাবুর আরও অভিযোগ, শনিবারের সভা থেকে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা থেকে জেপি নাড্ডার নিরাপত্তা, কৃষকনিধি থেকে আয়ুষ্মান ভারত-একাধিক ইস্যুতে ডাহা মিথ্যে বলেছেন অমিত শাহ। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য তুলে ধরেছেন বলে অভিযোগ। এদিন তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে অমিত শাহের ভুল শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা। সুব্রতবাবুর কথায়, “দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরণের অসত্য তথ্য আশা করা যায় না।”
আক্রমণ শানান শুভেন্দু-সহ দলত্যাগী সকল নেতাদের উদ্দেশেও। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “যাঁরা এভাবে দল ছাড়েন তাঁরা বিশ্বাসঘাতক। তাঁরা মীরজাফর, জগৎ শেঠ। মানুষ এঁদের ক্ষমা করে না।” বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে সুব্রতবাবুর শ্লেষ, “একা শুভেন্দুকে নিয়েই ২৫০ আসনের স্বপ্ন দেখছে। এরপর কোনদিন তো বলে বসবেন ৩০০-এর বেশি আসন পাবে! এখনই সামলে নেওয়া উচিৎ।”