সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা তৃণমূলের। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (SukhenduSekhar Roy) বলেন, “বিজেপির আবার প্রশিক্ষণ!” রাজ্যের অশান্তির জন্য দায়ী করলেন বিজেপিকেই।
শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দুশেখর রায়। সেখান থেকেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন তিনি। আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপিকেও। অভিযোগ করেন, বিজেপি হিংসার রাজনীতি করছে। বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিজেপি করতে আবার প্রশিক্ষণ লাগে ! কারা ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের শিক্ষক ? আশ্চর্য লাগছে। সংসদীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী আমরা ধৈর্য্য ধরে সব কিছু শুনি। বক্তৃতা হয়। যাঁরা এটাই মানেন না তাঁদের কীসের প্রশিক্ষণ জানি না। উত্তরবঙ্গ ভাগের প্রশিক্ষণ নাকি?”
[আরও পড়ুন: কোর্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ, পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী]
পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেন, “উপনির্বাচন ৬ মাসে করতে হয়। ওঁর ২ মাস বাকি ছিল। ওখানে রাজ্যপালের শাসন করতে পারত। আসলে ওখানে বিক্ষোভ হচ্ছে দলে ওঁকে নিয়ে। একাধিক সমস্যা হয়েছে। তাই তাকে সরাচ্ছে। বির্তকিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উনি। কুমায়ুন অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বসূরিকে নিয়েও বিতর্ক ছিল। একে নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। সেটা এড়াতেই তাঁকে সরানো হয়েছে। এখানে কৌশলের অবকাশ নেই। যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।”
সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “রাজ্যে ভোটের সময় করোনা তিন থেকে বেড়ে ৩৩% হয়ে গিয়েছিল। শেষ চারদফা একসঙ্গে করতে বলেছিলাম, শোনেনি। এখন করোনা এই রাজ্যে ২%। ফলে ওদের পাগলের প্রলাপ মানছি না। আশা করি দ্রুত উপ নির্বাচন হবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল নব নির্বাচিত বিধায়কদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই মতোই শনিবার হেস্টিংসের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দিলীপ ঘোষ।