ধীমান রায়, কাটোয়া: বিজেপি কর্মীদের হুমকি তৃণমূল (TMC) নেতার। এলাকায় মিছিল, মিটিং করতে এলে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু। তাঁর কথায়, “যতক্ষণ না কেন্দ্র সরকার পাওনা টাকা দিচ্ছে ততক্ষণ বিজেপিকে মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হবে না।”
শনিবার গুসকরায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর সভা ছিল। সেখানে দেবু টুডুর অভিযোগ, “বিজেপি গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। গরিব মানুষের আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। আমাদের পাওনা টাকা দিচ্ছে না।” এরপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাওনা টাকা না দিলে ওদের মিটিং, মিছিল করতে দেওয়া হবে না। প্রতিবাদ করুন। ওরা মিটিং-মিছিল করতে এলে বেঁধে রাখুন। আগে পাওনা টাকা মেটাক তারপর ওদের মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: বউবাজারের বাড়িতে ফাটল: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে ফিরহাদরা, বাসিন্দাদের অর্থসাহায্যের ঘোষণা]
স্বাভাবিকভাবে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতির এধরনের মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এপ্রসঙ্গে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূল হচ্ছে চোর খুনির দল। ওদের মুখে এর থেকে ভাল কথা কিছু আশা করা যায় না।” বিজেপির গুসকরা নগর কমিটির সভাপতি পতিতপাবন হালদার বলেন, “তৃণমূল সরকার দুর্নীতিতে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ওদেরকে আমাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখতে হবে না। আর কিছুদিন পর সাধারণ মানুষ ওদেরই ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখবে।”
কেন্দ্র-রাজ্যের দ্বন্দ্বের মাঝে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকা পাঠানো আপাতত স্থগিত। বিশেষত গ্রামোন্নয়নের নানা কাজে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ পাওয়া না গেলে কাজ এগোন অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে বারবারই সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে এ বিষয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন। দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের সময়ও তিনি বকেয়া টাকা দ্রুত পাঠানোর কথা বলেছেন। কিন্তু এসবের পরও টাকার অভাবে থমকে গিয়েছে ১০০ দিনের কাজ (MGNREGA)।