সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাদ্যাভাস দেখেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় বুঝে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে কর্মরত শ্রমিকরা বাংলাদেশি! এই মন্তব্যের জেরে বিভিন্ন মহল থেকে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে বিজেপি নেতাকে। এবার বিজেপি নেতার পোহা মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধরনামঞ্চে বসে চিঁড়ে খেলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মালা রায়-সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
বিজেপি নেতাদের মুখে বিতর্কিত মন্তব্য যেন লেগেই রয়েছে। দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, সায়ন্তন বসুর পর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সমালোচনার কেন্দ্রে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সম্প্রতি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে একটি অতিরিক্ত ঘর তৈরির কাজ হচ্ছিল। তখন কিছু শ্রমিক তাঁর বাড়িতে কাজ করছিলেন। তাঁরা নাকি চিঁড়ে খাচ্ছিলেন। শ্রমিকদের চিঁড়ে খেতে দেখেই তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ জেগেছে কৈলাসের। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার সন্দেহ ওঁরা বাংলাদেশি ছিল। দু’দিন দেখার পর আমি বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিই। আমি পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি। কিন্তু সবাইকে সাবধান থাকার জন্য জানালাম।’ প্রধানমন্ত্রীর পোশাক মন্তব্যের পর খাদ্যাভাস নিয়ে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। টুইটে বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষককে বিঁধেছেন নেটিজেনরাও।
[আরও পড়ুন: CAA বিরোধী বিক্ষোভে বাধা, পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কলকাতা পুরসভা চত্বর]
এই পরিস্থিতিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ‘চিঁড়ে’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে শনিবার বিকেলে ধর্মতলার ধরনামঞ্চে একত্রিত হন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এদিন ধর্মতলায় জড়ো হয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে বসে চিঁড়ের একাধিক পদ খাওয়াদাওয়া করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখান থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান তাঁরা। সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় সরব হন। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ধর্মতলায় রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৬ দিনে পড়েছে। একাধিকবার এই সভামঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর, পথে নামবে ‘ওরা ৬’]
The post কৈলাসের মন্তব্যের প্রতিবাদ, ধর্মতলার ধরনামঞ্চে বসে চিঁড়ে খেলেন তৃণমূল নেত্রীরা appeared first on Sangbad Pratidin.