অর্ণব দাস, বারাকপুর: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত। অর্জুন সিংয়ের টাকায় জগদ্দলের উন্নয়ন করা যাবে না। পঞ্চায়েত প্রধানকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। অডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধানও। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (MP Arjun Singh) বলছেন, বিষয়টি সত্যি হলে সাংঘাতিক ব্যাপার।
কয়েক মাস আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) ফিরেছেন শিল্পাঞ্চলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। কিন্তু তাঁর এই ঘরওয়াপসি তৃণমূলের সব নেতা মেনে নিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং কাউগাছি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান অমল মণ্ডলের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, গাছে বেঁধে তৃণমূলের শ্রমিক নেতাকে বেধড়ক মার ডেবরায়]
সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান অমল মণ্ডলকে সোমনাথ শ্যাম প্রশ্ন করেছেন, “আপনি অর্জুন সিংয়ের কাছে সাংসদ কোটার টাকা পেতে আবেদন করেছেন কেন?” একইসঙ্গে তিনি জানান, জগদ্দন বিধানসভায় কেউ অর্জুন সিংয়ের টাকায় কাজ করছে না। পালটা অমল জানান, তিনি এমন কিছু জানতেন না। একইসঙ্গে জানতে চান, তাহলে ওঁর এলাকার উন্নয়নের কাজের কী হবে? বিধায়কের কাছে উন্নয়নের জন্যও টাকা দাবি করেন তিনি। পালটা বিধায়কের জবাব, “এখন আমি টাকা দিতে পারব না। আপনি কি আমাকে ব্ল্যাকমেল করছেন?” সাংসদ তহবিলের টাকা অর্জুন সিংয়ের ব্যক্তিগত টাকা নয় বলেও বিধায়ককে বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু লাভ হয়নি। সোমনাথ শ্যামের পালটা দাবি, অর্জুন তো বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। গেরুয়া শিবিরে থাকাকালীন তৃণমূল নেতা, কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেছেন। টাকা নেওয়ার অর্থ এসব মেনে নেওয়া। তবে ভাইরাল হওয়া এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
অডিওর সত্যতা অবশ্য অস্বীকার করেছেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁর অভিযোগ, “চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি কাউকে ফোন করেনি। এ নিয়ে কিছু জানি না।” একই দাবি করেছেন অমল মণ্ডলও। তাঁর কথায়, “আমি কাউকে ফোন করিনি। ভাইরাল অডিওর বিষয়ে কিছু জানি না। তাই এনিয়ে কিছু বলব না।” বিধায়কের দাবি, “বিজেপির আইটি সেল এসব করে থাকতে পারে।” এপ্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে জানান, “বিষয়টা সত্যি হলে সাংঘাতিক। তবে আমার মনে হয় না সোমনাথ এমন কিছু বলেছে। তেমন হলে আমি ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব।”