চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: প্রায় ৬৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর উদ্ধার মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল। জেসিবি দিয়ে পুকুরে লাগাতার তল্লাশির পর মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। আধিকারিকরা ওই মোবাইলটি নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ওই মোবাইলটিকে ফরেনসিক পরীক্ষায় হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। আর কোনও সামগ্রী উদ্ধার হয় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ওই পুকুরটিতে এখনও জারি লাগাতার তল্লাশি।
গত শুক্রবার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। জেরার মাঝে নিজের দু’টি মোবাইল বাড়ির পাশের পানাপুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন বিধায়ক। তারপর থেকে জল ছেঁচে সরিয়ে মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। লাগাতার শুরু হয় জল ছেঁচার কাজ। রবিবার একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ওই মোবাইলটিকে ড্রায়ার দিয়ে শুকনোর কাজ চলছে।
[আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণর সাহার মোবাইলেই ৭০% তথ্য! জল থেকে উদ্ধারের পর হাতে পেতে মরিয়া CBI]
এদিকে, সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ককে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ থেকে সোজা কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। বিধায়ক নিজাম প্যালেসে ঢোকার কিছুক্ষণ পর মুর্শিদাবাদের বাড়ি সংলগ্ন পানাপুকুর থেকে দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। জেসিবি দিয়ে পুকুরের নিচে থাকা পাঁক ঘেঁটে ওই মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। মোবাইলটি উদ্ধারের পরই সেটি সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আধিকারিকরা। মোবাইলটি হায়দরাবাদে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এর আগে ওই পুকুর থেকে ছ’টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগে নিয়োগ এবং জমিজমা সংক্রান্ত নথিপত্র পাওয়া যায় বলেই খবর। এখনও ওই পুকুরে আরও নানা সামগ্রীর খোঁজ মিলতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই। তাই এখনও জেসিবি দিয়ে চলছে পুকুরে জোর তল্লাশি। বিধায়ককে গ্রেপ্তার, দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধারের পরেও মুর্শিদাবাদে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
দেখুন ভিডিও: