বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আলোচনা চলাকালীন ফের অশালীন শব্দপ্রয়োগের অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল বিধানসভা (Assembly)। তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর আক্রমণের নিশানায় বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সরব বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।
রাজ্যগুলিতে বিএসএফের (BSF) কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় আলোচনা চলছিল। এতে আপত্তি জানিয়ে বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ হওয়ার কথা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের আপত্তিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ফলে বিরোধিতা আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করে এদিন বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে। এর পক্ষে ১১২টি এবং বিপক্ষে ৬৩টি ভোট পড়ে। সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ভোট দেননি।
[আরও পড়ুন: পুরভোটের লড়াইয়ে তরুণ মুখ চাইছে তৃণমূল, গুরুত্ব বাড়ছে যুব-ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের]
তবে তার আগে আলোচনা চলাকালীন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর বক্তব্য ছিল, ”যদি কোনও শিশু ছোটবেলায় দেখে যে নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী তার মাকে হেনস্তা করছে, গোপনাঙ্গে হাত দিচ্ছে, তাহলে সে কখনও প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারে না।” একথার তীব্র প্রতিবাদ করেন নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী ((Mihir Goswami))। তিনি চিৎকার করতে থাকেন। তাতেই মেজাজ হারান উদয়ন গুহ। এরপরই বলে ওঠেন, ”আপনার একটা পা ভাঙা, আরেকটা পাও ভেঙে দেব।”
[আরও পড়ুন: দ্রুতই ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার, বিধানসভায় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর]
তাঁর এই মন্তব্যের পরই জোর তরজা শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা একযোগে উদয়নের বিরুদ্ধে সরব হন। বিধানসভায় তুমুল শোরগোল শুরু হয়। এরপর শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ”শাসকদলের বিধায়ক আমাদের উদ্দেশে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। এটি এখনই কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হোক। নচেৎ ভবিষ্যতে খারাপ উদাহরণ হিসেবেই থেকে যাবে।” উদয়ন গুহর আচরণে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হলেও এখনই তা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।