সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম-মিজোরামের (Assam-Mizoram) সংঘর্ষে ৬ জওয়ানের নিহত হওয়ার ঘটনা বেদনাহত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি টুইট করে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বিজেপিকেও কটাক্ষ করেছেন। এও জানিয়েছেন, ভারতে এই ঘটনা কাম্য নয়। সোমবার রাতে এই নৃশংস ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালেই টুইট করেছেন অভিষেক।
ঘটনা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে টুইটে সরব রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। ঘৃণা, বিদ্বেষের জবাব দিচ্ছে মানুষ। কটাক্ষ তাঁর।
গত শনিবার শিলংয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তারপরই দুই পড়শি রাজ্যের মধ্যে এই সংঘাতে উত্তাপ ছড়িয়েছে দেশের উত্তর-পূ্র্বাঞ্চলে। অসমের (Assam)বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমানার অপর দিক থেকে অসমে ঢুকে হামলা চালায় মিজোরামের (Mizoram) দুষ্কৃতীরা। গায়ের জোরে জমি দখল করে ফেলে তারা। বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয়। একই অভিযোগ জানিয়েছে মিজোরামও। গোটা বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। ঘটনার পর দু’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অসম-মিজোরাম সংঘর্ষে আহত জওয়ানদের এদিন হাসপাতালে দেখতে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশের কোভিড গ্রাফে সামান্য উন্নতি, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ নামল ৩০ হাজারের নিচে]
অসম-মিজোরামের এই সীমানায় অশান্তি নতুন কিছু নয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে। বিতর্কিত এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেছিল দুই রাজ্যই। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার আবারও হিংসা ছড়ায় সীমান্তে। জানা গিয়েছে, অসমের কাছাড় জেলায় মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সোমবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়। অসম পুলিশের উপর মিজোরামের দিক থেকে গুলি চালানো হয়। ফলে মৃত্যু হয় ৬ পুলিশকর্মীর। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার নিম্বলকর বৈভব চন্দ্রকান্ত। মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, তাঁদের সীমানায় অন্তত ২০০ জনের অসম পুলিশের একটি বাহিনী ঢুকে পড়ে। তারাই আগে গুলি চালায়। পালটা জবাব দেয় মিজোরামের পুলিশ।