ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সোমবার গোয়ার ভোট। তার আগে বৃহস্পতিবার জোড়া সভা করে একযোগে বিজেপি আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
গতকাল অর্থাৎ প্রথম সভাটি হয় চার্চ গ্রাউন্ডে। পরেরটি হয় আলদোনায়। অভিষেক সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, “কংগ্রেসের কোনও নেতা বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ইডি-সিবিআই ডাকে না। শুধুমাত্র টার্গেট করা হয় তৃণমূলকেই। আমাকেই ১০টা নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওরা ভাবে ইডি-সিবিআইয়ের নোটিস দিলেই আমরা ভয় পেয়ে যাব।” একুশের নির্বাচনের আগে ঠিক যে ভাষায় বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন, সেই ভাষাতেই গোয়ায় দাঁড়িয়ে তাঁর নিশানা বিজেপি। বলেন, “আমাদের এই ভাবে যত আঘাত করবে আমরা তত বেশি শক্তি নিয়ে জমিতে থেকে লড়াই করব। মেরে আমাদের শেষ করা যাবে না। আমাদের প্রতীক তো ঘাস আর জোড়া ফুল। যত কাটবে তত বাড়ব। আমাদের চমকে ধমকে কোনও লাভ হবে না, বিজেপি সরকার তা জেনে রাখুক।”
[আরও পড়ুন: দেড় বছরের বাড়িভাড়া বাকি সোনিয়ার! আরটিআইয়ের জবাবে মিলল এমনই তথ্য]
গোয়ার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন অভিষেক। চাকরি থেকে শুরু করে লোডশেডিং এরকম নানা ইসু্যতে তোপ দাগেন। বলেন, “গোয়ায় নাকি ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে। আর এখানে একজন যুবককে চাকরি পেতে মন্ত্রীকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। আলো কখন আসে, কখন যায় বোঝা যায় না। ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে।” তাঁর দাবি তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে গোয়ায়। সেই কথা বলেই প্রতিশ্রুতি দেন, “১০ মার্চ ফল ঘোষণা হবে। তৃণমূলের সরকার গঠিত হলে, সরকারে যত শূন্যপদ রয়েছে, সব পূরণ করে এখানকার যুব সমাজকে কর্মসংস্থান দেবে তৃণমূলের সরকার।”
আজ অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতায় ফিরছেন অভিষেক। তার সঙ্গে দলের পদাধিকারী প্রত্যেককে বলে দিয়েছেন গোয়া ছাড়তে। ভোটে কোনও রাজ্যের বহিরাগতদের রাজ্যে থাকার নিয়ম নেই। কমিশনের সেই নিয়ম মেনেই বাংলা থেকে যাওয়া প্রত্যেককে রাজ্যে ফিরতে বলে দিয়েছেন। গোয়ার ৪০টি আসনের মধ্যে মোট ২৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বাকি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি।