ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনে তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে জয় বিজেপির। দুই রাজ্যে ধুয়ে মুছে সাফ কংগ্রেস। আর চার রাজ্যের ফল ঘোষণার দিনই ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। আগামী ৬ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে বৈঠকের ডাক দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু সেই বৈঠকে নাকি আমন্ত্রণই জানানো হয়নি তৃণমূলকে। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। ব্র্যান্ড মোদিতে ভর দিয়ে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে গেরুয়া শিবির। সান্ত্বনা হিসেবে তারা পেয়েছে তেলেঙ্গানা। আর সেই দিনই চব্বিশের লক্ষ্যে নিজেদের রোডম্যাপ তৈরি করতে বৈঠকের ডাক দেন খাড়গে। কিন্তু সোমবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলে দেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রং বিতর্কে রাজ্যকে জবাব দিল কেন্দ্র, বিধানসভায় সরব মুখ্যমন্ত্রী]
বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরই তৃণমূলের কটাক্ষের মুখে পড়ে হাতশিবির। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলে দেন, “এটা বিজেপির জয় নয়, কংগ্রেসের হার।” এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘এই হার মানুষের নয়, কংগ্রেসের হার।’ কটাক্ষের সুর শোনা যায় অভিষেকের গলাতেও। বলেন, “যাঁরা জয়ী, তাঁদের শুভেচ্ছা। পরাজিতদের বলব, ভুল সংশোধন করে পরবর্তী সময়ে আরও শক্তিশালী হয়ে লড়াই করতে হবে। কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্ব আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। প্রথম দিন থেকে বলছি, যে যেখানে শক্তিশালী, তাকে সেখানে লড়তে দেওয়া হোক। সেটা করলেই হয়ত এই বিপর্যয় হতো না।” অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক হয়েও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের ভুল ধরিয়ে দিতে দ্বিধা করেনি তৃণমূল।
এমন পরিস্থিতিতে জোট বৈঠকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ না জানানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে কি চব্বিশে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ে নামার আগেই ফাটল ধরছে ইন্ডিয়া জোটে? উঠছে প্রশ্ন।