সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হওয়ার সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল টলিউডের এই নায়িকাকে নিয়ে। বিপুল ভোটে জিতলেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বার বার। পোশাক বিতর্ক থেকে গ্লাভস বিতর্ক, একাধিকবার জেরবার হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এবার ফের বিতর্কে তিনি। এক বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়লেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
সম্প্রতি এক চুলের তেলের বিজ্ঞাপনে মিমিকে দেখা গিয়েছে নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করতে। আর সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। ফের মাথা চাড়া দিয়েছে ‘অফিস অফ প্রফিট’ বিতর্ক। তবে এই আইনের আওতায় মিমির সাংসদপদ খারিজ হবে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে দীর্ঘ দিন সংসদীয় কার্যকলাপ এবং সাংসদদের নিয়ম-নীতি নিয়ে যারা চর্চা করছেন, তাঁদের মত, সাংসদদের আদর্শ আচরণ বিধিতে যে ‘স্বার্থের সংঘাত’ সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে, মিমি তা পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছেন। তাহলে?
[আরও পড়ুন: সামাজিক ট্যাবু নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে ‘মিছিল’, মুখ্য চরিত্রে বাসবদত্তা ]
“একটি বাণিজ্যিক সংস্থার স্বার্থে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী তাঁর জনপ্রতিনিধি পরিচয় ব্যবহার করতে পারেন না”, এমনটাই শোনা যাচ্ছে অন্যান্য দলের সাংসদ তথা সদস্যদের কাছ থেকে। উপরন্তু এই ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেও দাবি করছেন, রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অতঃপর জোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। যার দরুণ, লোকসভার স্পিকার কিংবা এথিক্স কমিটির কাছেও অভিযোগ পড়লে মিমি চক্রবর্তীকে জবাবদিহি করতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও তৃণমূলের তরফে মিমি চক্রবর্তীর এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপন নিয়ে কাউকেই কোনওরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। দলের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ড অর্থাৎ ওই তেল কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত মিমি চক্রবর্তী। সংস্থার বাংলা বিজ্ঞাপনের মুখ হিসেবে তাঁকেই দেখা যেত। এতদিন ‘অভিনেত্রী’ কিংবা ‘তারকা’ পরিচয় ব্যবহার করেই ওই তেল কোম্পানির হয়ে প্রচার চালিয়েছেন মিমি। কিন্তু এবার বিজ্ঞাপনের সংলাপে ‘জনপ্রতিনিধি’ শব্দটি নিয়েই আপত্তি উঠেছে। বিজ্ঞাপনে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে বিদ্যা বালনকেও। সেখানেই দেখা গিয়েছে, একটি আয়নার সামনে বসে চুল বাঁধছেন তিনি। পিছন থেকে বিদ্যা হেঁটে এসে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, “এখনও চুল নিয়ে পড়ে?” এর প্রেক্ষিতেই মিমির উত্তর, “আমি এখন জনপ্রতিনিধি, তার যোগ্য হেয়ারস্টাইল!” আর এই দৃশ্য নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি।
[আরও পড়ুন: সৌমিত্রকে নিয়ে পরমব্রতর ‘অভিযান’ শুরু ফেব্রুয়ারিতে, অভিনয়ে পাওলি-সোহিনীরা ]
যাকে নিয়ে এক বিতর্ক, তিনি কী বলছেন? মিমির কথায়, তিনি এই সব নিয়মকানুন একেবারে জানতেন না। তাঁকে যা পড়তে বলা হয়েছিল, তিনি সেটাই পড়ে দিয়েছেন। উপরন্তু যে সংস্থার হয়ে তিনি বিজ্ঞাপনটি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে তিনি কথা বলে বিতর্কিত অংশটি বাদ দেওয়ার কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
The post চুলের তেলের বিজ্ঞাপনে ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার, বিতর্কে মিমি appeared first on Sangbad Pratidin.