ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায়ে দিল্লির কর্মসূচি সফল করতে জোরকদমে নেমে পড়ল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বঞ্চিতদের দিল্লি নিয়ে যেতে বিশেষ পরিকল্পনা রাজ্যের শাসকদলের। একদিকে যেমন বকেয়া অর্থপ্রাপকদের কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই দিল্লি এবং কলকাতায় বঞ্চিতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্য থেকে যারা দিল্লির অভিযানে যাবেন, তারা শুক্রবার থেকেই কলকাতায় জড়ো হওয়া শুরু করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন ও বাসে করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতরা আসবেন কলকাতায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে শাসক দল। ৩-৪ হাজার মানুষ সেই ট্রেনে করেই দিল্লি রওনা দেবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টায় হাওড়া থেকে রওনা দেবে ওই বিশেষ ট্রেন। ১ অক্টোবর দিল্লি পৌঁছে যাবে ট্রেনটি।
[আরও পড়ুন: ‘মধ্যপ্রদেশে কিশোরীকে ধর্ষণ ভারতমাতার হৃদয়ে আঘাত’, বিজেপিকে তোপ রাহুুলের]
এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে তাতে ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মজয়ন্তিতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার কথা নেতৃত্বের। পরদিনের কর্মসূচি অবস্থান বিক্ষোভের। সেখানে কয়েক হাজার দলীয় নেতা-কর্মীর জমায়েতের কথা। যন্তরমন্তরে তার জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে তৃণমূল। বঞ্চনার প্রতিবাদে লেখা ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা করে দলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পদাধিকারীদের যাওয়ার কথা কৃষিভবন। সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে গিরিরাজ এই সাক্ষাৎ এড়িয়ে যেতে পারেন দলের কর্মসূচির কথা বলে।
[আরও পড়ুন: মমতাকে নিশানা করে অন্যায় করছেন অধীর, ক্ষোভ শরদ পওয়ারের]
রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর একটা বড় অংশ ১০০ দিনের কাজের। সেই টাকা আদায়ের লক্ষ্যেই তৃণমূলের এই মেগা কর্মসূচি। এরাজ্যের শাসক দলের ‘দিল্লিতে পৌঁছবে বাংলার গর্জন: হকের টাকা ফেরত চাই এখনই!’